১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
শিশু জিসান হত্যাকাণ্ড :

বলাৎকারের পর হত্যা করে গলার চেইন ছিনিয়ে নেয় আল আমিন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্যই চকলেটের লোভ দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় শিশু জিসান হাসান রাব্বিকে (৭)। পরে তার গলায় থাকা রুপার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে করা হয় বলাৎকার এবং পরে হত্যা করা হয় শ্বাসরোধে। পরে লাশ গুম করার জন্য ফেলা রাখা হয় জঙ্গলে। হত্যাকান্ডের মূলহোতা মাদকসেবী আল আমিনকে (২২) গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪।

মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার নবীনগরস্থ র‌্যাব-৪ এর সিপিস-২ নবীনগর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান কোম্পানী কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, গত ৯ জুন বিকেলে জিসানের বাবা তার ৭ বছরের শিশু নিখোঁজের বিষয়ে র‍্যাব-৪, নবীনগর ক্যাম্পে নিখোঁজ অভিযোগ দেন। পরের দিন বিকেলে জানা যায়, ঢাকা ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কবরস্থানের পাশের জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশু জিসানের লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠায়।

র‍্যাব আরো জানায়, একই দিন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় একজন ছিচকে চোর। চুরির করার পাশাপাশি আল আমিন ছিনতাই ও ডাকাতির সাথেও জড়িত। এছাড়া নিয়মিত হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করতেন। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য তিনি ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন বিকেলে ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকায় গেলে জিসানের গলায় রুপার চেইন পড়ে খেলা করছে দেখতে পায়। পরে কৌশলে শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে কবরস্থানের পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে শিশুটিকে প্রথমে বলাৎকার করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নিয়ে শিশুটির পরিহিত প্যান্টের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং মাথার অংশ কাদা মাটির নিচে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে রুপার চেইন নিয়ে আল আমিন পালিয়ে যান।

র‌্যাব-৪-এর সিপিস- ২ নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। আসামি গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। লাশ উদ্ধারের দুই ঘণ্টার মধ্যেই ধামরাই কালামপুর এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আল আমিনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে চুরি হওয়া চেইনটি ধামরাইয়ের একটি জুয়েলার্সের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশকে উন্নত ও শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে, ফিরে আসার সুযোগ নেই : সোহেল আমাদের সংবিধান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি চব্বিশের নতুন বাংলাদেশে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ

সকল