দৌলতদিয়ায় পার হচ্ছে শত শত গরুবাহী গাড়ি, চাঁদাবাজি অভিযোগ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নির্বিঘ্নে নদী পাড় হচ্ছে শত শত কোরবানির জন্য গরুবাহী গাড়ি। তবে এসব গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ রুটে ২৭৭টি গরুবাহী ট্রাক ঢাকার দিকে পার হয়েছে।

প্রতিদিন এ নৌরুটে মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা গরুবাহী শত শত ট্রাক রাজধানীর গাবতলি, হাজারীবাগ, শেওড়াপাড়াসহ বিভিন্ন হাটে যাচ্ছে। এসব ট্রাকের ওপরে বাঁশের মাচান তৈরি করে তার গরুর খাবার ও সাত-আটজন রাখাল গরুর নিরাপত্তার দিয়ে যাচ্ছে। ওই রাখালদের ফেরি ভাড়া রাখার বিধান না থাকলেও ঘাট ইজারাদারের লোকজন তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ফেরি কাউন্টার থেকে গরুর গাড়ি থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার দুপুরে ও সোমবার বিকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অন্যান্য যানবাহনের তেমন চাপ নেই। তবে তুলনামূলক রয়েছে কোরবানির গরুবাহী একের পর এক ছোট-বড় ট্রাক।

মাগুরা ও ঝিনাইদহ থেকে আসা মামুন ও শিহাবসহ প্রতিটি গরুর ট্রাকে থাকা একাধিক রাখালের অভিযোগ, ফেরি ভাড়া জনপ্রতি ৩৬ টাকা হলেও তাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। আবার ট্রাক ভাড়ার সাথে ১০০ টাকা বেশি নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ফেরি কর্তৃপক্ষের কেউ অভিযোগ স্বীকার করেননি। তবে ফেরি ঘাটের সামনে টিকিট হাতে বিক্রি করা লোকজনকে জনপ্রতি ৩৬ টাকার টিকিট ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, ভাংতি না থাকায় কখনো দু’চার টাকা কম-বেশি নেয়া হয়।

দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সালাউদ্দিন বলেন, ‘গরুবাহী ট্রাকের ওপরে যারা যাচ্ছে তাদের ভাড়া নেয়া যাবে না। তারা লুচ যাত্রী নয়। তাছাড়া কাউন্টার কিংবা অন্য কোথাও অতিরিক্ত আদায় বা কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে আমি সাথে সাথে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, ঈদকে সামনে রেখে দৌলতদিয়ায় কোনোরকম অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে দ্রুত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।