১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সাভারে মাদককারবারিকে ধরিয়ে দেয়ায় নারীকে নিখোঁজের পর হত্যা

পুলিশের সোর্স নিহত সীমা বেগম - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাভারের বিরুলিয়ার মাদককারবারি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল হামিদ মিয়াকে ও অপর মাদককারবারি স্বপনের স্ত্রীকে আটকের জেরে গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স সীমা বেগম (৪২) নামের এক নারীকে নিখোঁজের পর হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৭ জুন) এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম (২৭) নামের সাভার পৌর এলাকার ইমান্দিপুরের এক মাদককারবারিকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সাভার মডেল থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা ডিবি (উত্তর) তাকে আটক করেন।

নিহত সীমা বেগম মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সীকাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর খান।

জানা যায়, সীমা বেগমের লাশ সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মাদককারবারি স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে লাশটি মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২ জুন নিখোঁজ হন সীমা বেগম।

পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসাবে মাদককারবারি সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে বিরুলিয়ার ওই এলাকা থেকে সীমা বেগমের লাশ উদ্ধার করেন।

নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, গত ১৩ মে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম স্বপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাদকসহ স্বপনের স্ত্রী পপিকে ও যুবলীগ নেতা হামিদকে আটক করে পুলিশ। এ সময় স্বপন পালিয়ে যায়। এর কিছু দিন পর তার ‘মা তাকে ফোন দিয়ে বলেন, স্বপন লোকজন ঠিক করেছে তার মাকে মারার জন্য। এর দুইদিন পর থেকেই নিহত সীমা বেগম নিখোঁজ হয়। পরে বৃহস্পতিবার স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে তার মায়ের লাশ উদ্ধার করল পুলিশ।’
তিনি আরো বলেন, ডিবির অভিযানে তার মা নাকি সহযোগিতা করেছিলেন। ডিবি নাকি তার মায়ের কাছে স্বপনের বাড়ি কোথায় জানতে চেয়েছিল। তার মা স্বপনের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিল। স্বপন, রেজাউল ও সাইফুলসহ আরো কয়েকজন মিলে তার মাকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয় বলে জানান নিহতের মেয়ে তানিয়া।

এদিকে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আবদুল হামিদকে মাদকসহ আটকের পর দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে পরবর্তীতে বহিষ্কার করা হয়।

ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, আটক সাইফুল ইসলামকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকা থেকে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল হামিদ মিয়া ও স্থানীয় মাদককারবারি স্বপনের স্ত্রী পপি আক্তারকে (২০) আটক করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা এখনও জেল হাজতে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement