১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ভিডিও ধারণ, সাংবাদিকসহ আহত ১০

প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ভিডিও ধারণ, সাংবাদিকসহ আহত ১০ - ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রকাশ্যে ভোটের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির কর্মী-সমর্থকের হামলায় ৬ সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।এতে ওই ভোট কেন্দ্রে ঘণ্টাখানেক ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে জাজিরা সেনেরচর ফরাজী দারুস সুন্নাহ নূরানী হাফেজিয়া কাওমীয়া মাদরাসা ও এতিমখানা কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়, আহত সাংবাদিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে জাজিরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ৬২১টি বুথের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এতে এস এম আমিনুল ইসলাম রতন (ঘোড়া প্রতীক) ও মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী (মোটরসাইকেল প্রতীক) সহ পাচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ইদ্রিস ফরাজী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সেনেরচর ফরাজী দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফিজিয়া কওমিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা প্রকাশ্যে ভোট দিতে চাপ বাধ্য করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক কর্মরত সাংবাদিকরা সেই চিত্র ধারণ করতে চাইলেই অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থকরা সাংবাদিকসহ উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রতনের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রতন, দৈনিক সংবাদের জাজিরা প্রতিনিধি পলাশ খান, বার্তা বাজারের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়, যায়যায় দিনের জাজিরা প্রতিনিধি ইমরান হোসাইন, দৈনিক জবাবদিহির জাজিরা প্রতিনিধি সুজন মাহমুদ, বাংলাদেশ সমাচারের রুহুল আমিন ও কালবেলার জাজিরা প্রতিনিধি আব্দুর রহিমসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দৈনিক সংবাদের জাজিরা প্রতিনিধি পলাশ খান বলেন, আমরা ভোট কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করছিলাম। মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করছেন এমন খবরের চিত্র ধারণ করতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইদ্রিস ফরাজির ভাই ইমন ফরাজির নেতৃত্বে ৫০-৬০জন আমাদের ওপর হামলা চালায়।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাফিজুর রহমান বলেন, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পুনরায় ভোট গ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি করে অন্য কেন্দ্রে চলে আসি। এ বিষয়ে আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তা ও জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, সেনেরচর ফরাজী দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফিজিয়া কওমিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে গোলযোগের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আধা ঘণ্টার মধ্যে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চালু করি।

 


আরো সংবাদ



premium cement