সাভারে ভোটারশূন্য কেন্দ্র
- সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ২১ মে ২০২৪, ১৬:৫৯
সাভারে ভোটারশূন্য কেন্দ্রের বাইরে বসে মোবাইল দেখে অলস সময় পার করছে আনসার সদস্যরা। আর কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ভোটারের অপেক্ষায় প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং এজেন্টরা। সারাদিনব্যাপী কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
মঙ্গলবার (২১ মে) সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
স্থানীয়দের অভিমত নির্বাচনের মূল আকর্ষণ হলো চেয়ারম্যান। সেখানে সাভারে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় বার মঞ্জুরুল আলম রাজীব নির্বাচিত হওয়ায় ভোটের আমেজে খানিকটা ভাটা পড়েছে। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটার আকৃষ্টে ব্যার্থ হয়েছেন তারা। ভোটারা বলছে যারা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছে তাদের অনেকই তেমন একটা চিনেনা তারা এমনি প্রচারনায়ও চোখে পড়েনি।
কেন্দ্রগুলোর ভেতরে ভোটের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং এজেন্টরা আর কেন্দ্রগুলোর বাইরে আনসার, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খর দায়িত্বে থাকা ছাড়া তেমন লোক সমাগম চোখে পড়েনি। অনেকে সাধারণ মানুষ আসছে ভোট দেখতে। দুপুর ১টার সময় সাভার পৌর এলাকার প্রাণ কেন্দ্র রেডিকলোনী কেন্দ্রে ভোটার শুন্য কেন্দ্রে আনসার বাহিনী মোবাইল দেখে সময় পার করতে দেখা গেছে। এ কেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা পৃথক বুথ ছিল। মোট ভোটার সংখ্যা ছয় হাজার ২৬৮। মোট পুরুষ ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৯৯ জন। এ সময় কেন্দ্রের বাহিরে থাকা আনসার বাহিনী এক সদস্য ফাঁকাকেন্দ্রের ছবি তুলতে চাইলে সে জানায় স্যারদের অনুমতি নিতে বলেন। এমন কি সাংবাদিক পরিচয় দিলেও ছবি তুলতে বারন করেন। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে জানা যায়, সাভারের কিছু কেন্দ্রে ও আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একটিও ভোট কাস্ট হয়নি। এই দুই কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত আনসার সদস্য জাকারিয়া হোসেন ও মিজানুর রহমানকে দেখা যায় কেন্দ্রের বাইরে টুল পেতে লুডু খেলায় মশগুল।
তারা বলেন, ভোটার শূন্য মাঠ তাই অলস বসে থাকতে বিরক্ত লাগছে সেজন্য লুডু খেলে সময় পার করছি।
নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ তৎপর ছিল। সকাল থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলার জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আমিনুর রহমান, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
প্রিজাইডিং অফিসার ওসমান গনী ও মোশাররফ হোসেন মন্ডল জানান, তাদের দুই কেন্দ্রে চার হাজার ৯৬ জন ভোটারের মধ্যে বেলা ১১টা পর্যন্ত একজন ভোটারও ভোট দিতে আসেননি। তবে তাদের আশা হয়তো বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।