গরুর নাম উড়াল সড়ক, ওজন ৩৫ মণ
- মো: আল আমিন, কিশোরগঞ্জ
- ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৪০
গ্রামের নাম খয়রত। অন্য আট-দশটা গ্রামের মতোই সবুজ গ্রাম। এই গ্রামে থাকে জীবন্ত এক 'উড়াল সড়ক'। সাদাকালো শরীর। ঠান্ডা স্বভাব। তবে বাইরে বেরোলেই মাথা বিগড়ে যায়।
উড়াল সড়কের ওজন ৩৫ মণ। লম্বায় ৯ ফুট। শরীরে তেল চকচকে পশম। কাঁচা ঘাসের গন্ধ পেলেই শুরু করে নাচানাচি।
খয়রত গ্রামটি উজান-ভাটির সংযোগ এলাকায়, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নে। ওই গ্রামের খামারি মো: ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার গোয়ালে তার বসবাস।
গোয়ালে কারা থাকে!
গরু। তবে 'উড়াল সড়ক' যেনতেন গরু নয়। করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নাজমুল হাছান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং বড় গরুর মধ্যে এটি একটি।
এই গরু দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত লোক। দূর থেকে আসছেন ক্রেতারাও। মালিক দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।
কিন্তু তার নাম উড়াল সড়ক কেন? জানা গেছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ মিঠামইন উপজেলা থেকে খয়রত গ্রাম পর্যন্ত একটি উড়াল সড়ক করছেন। সড়কটি খামারের পাশ ঘেঁষে নামবে। এ কারণে খামারের মালিক তার বড় গরুটির নাম আদর করে রেখেছেন উড়াল সড়ক।
কোরবানির হাটে বিক্রি করতে খামারমালিক এই গরুকে যত্ন করছেন।
চার বছর বয়সি এই গরুটি হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের বলে জানিয়েছেন তিনি। এর দাঁত আছে ছয়টি। প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ কেজি খাবার খায়। খাবারের মধ্যে আছে কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভূষি, ধানের কুড়া, ছোলা, মিষ্টি কুমড়া। সে হিসেবে প্রতিদিন গরুটির পেছনে খরচ হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা।
এই খামারের এক গাভী থেকেই উড়াল সড়কের জন্ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইকবাল। পরে দেশিয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি।
প্রয়োজনমতো খাবার ও পরিচর্যা দিতে থাকেন। এতে দশাসই শরীর হতে থাকে গরুটির।
গত বছর ওজন ছিল ১২ শ' কেজি। তখন দাম উঠেছিল সাড়ে সাত লাখ টাকা। এবছর ওজন ১৪ শ' কেজি ছাড়িয়ে গেছে।
প্রাণী চিকিৎসকদের সহযোগিতায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফিতার মাপে ওজন নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গরুটির ওজন প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কেজি করে বাড়ছে।
যারা উড়াল সড়ককে কিনতে চান, তাদেরকে ০১৭১৬৮০০৩০০ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন ইকবাল।
জেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত জানান, 'উড়াল সড়কের' মালিক একজন সফল উদ্যোক্তা। 'উশা ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড অ্যাগ্রো' নামে তার খামার রয়েছে।
এ খামারেই তাকে পেলে-পুষে বড় করা হয়েছে। নিয়মিত দেখভাল করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা