দৌলতদিয়ায় ৬ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট ভাঙনে বিলীন হচ্ছে নদীর পাড়
- মেহেদুল হাসান আক্কাছ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
- ০৭ মে ২০২৪, ১২:১৬
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৬ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাটে শুরু হয়েছে পদ্মার তাণ্ডব। ভাঙনে ওই ঘাটের পাশে ছাত্তার মেম্বর পাড়ার নদীর পাড় বিলীন হচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার প্রায় ১৫০টি বসতবাড়ি, দোকানপাট ও দু’টি ফেরিঘাট।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া পয়েন্টে প্রায় ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বেড়েছে। পদ্মার জোয়ারে নদীর পানি উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং সৃষ্টি হয়েছে আছড়ে পড়া ঢেউ। এ সময় লঞ্চ ও ছোট ছোট নৌ-যানকে ধীরে ধীরে চলাচল এবং ৬ নম্বর ফেরিঘাটের বিশাল এলাকার গাছপালাসহ পাড় ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হতে দেখা যায়। এমনকি বেশ কিছু স্থানীয় লোকজনকে প্লাস্টিকের বস্তায় বালুমাটি ভরে ভাঙন রোধের চেষ্টা করতেও দেখা যায়।
এ সময় কর্মরত আব্দুল বারেক সরদারসহ একাধিক ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি লোকজন এসে দেখে যাচ্ছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা স্থানীয় তোফাজ্জেল হোসেন তপুর আর্থিক সহায়তায় ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি।
এ দিকে, ৩ নম্বর ফেরিঘাট-সংলগ্ন একাধিকবার ভাঙনের শিকার হয়ে অংশ বিশেষ টিকে থাকা মসজিদটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন স্থানীয় মুসুল্লিরা। তারা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা অনেক অনুরোধ করেছি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তারা এই মসজিদের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয় না। এবার এ বর্ষা মৌসুমে এই মসজিদটির কী অবস্থা হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘আমি জরুরী ভিত্তিতে দৌলতদিয়া ভাঙন ঘাটে পদ্মার ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা