কুমিল্লায় অটোরিকশাচালককে হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
- কুমিল্লা প্রতিনিধি
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭, আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৯
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পরকীয়ার দ্বন্দে সিএনজিচালিত-অটোরিকশার চালক রাসেলকে হত্যার দায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডে আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (২১ এপ্রিল) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বাহার।
নিহত রাসেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের শুভপুর এলাকার সোলেমান হক পাগলার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৩), নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামের আলা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ (৩০)। রায় ঘোষণার সময় গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত থাকলেও অপরজন পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বাহার জানান, ২০১৭ সালের ১৮ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাসেলকে অপহরণ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিরা। তারা এক লাখ টাকা দাবি করেন। ৫০ হাজার টাকা দিলেও ছেলেকে না পেয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। চৌদ্দগ্রামের চিওড়া রাস্তার মাথায় একটি লাশ উদ্ধার হলে জয়নাল আবেদীন তার ছেলের লাশ বলে শনাক্ত করেন। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন জয়নাল আবেদীন।
তিনি আরো জানান, পুলিশ তদন্ত করে শুভপুর এলাকার একরামুল হক পাগলা, গিয়াস উদ্দিন, শাহিন, নাঙ্গলকোটের অলি উল্লাহ ও আসমা আক্তার সাথীকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে একরামুল হক পাগলার মৃত্যু হলে তাকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়। এছাড়াও বয়স কম হওয়ায় সাথীর মামলা শিশু আদালতে চলমান রয়েছে। শাহিনকে অব্যাহতি দেয় আদালত এবং বাকি দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আসামিরা স্বীকার করেন যে আসমা আক্তার সাথী রাসেলের সম্পর্কে ভাবি হন। তার সাথে রাসেলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এদিকে গিয়াস উদ্দিনের সাথেও ছিল সাথীর পরকীয়া সম্পর্ক। এর দ্বন্দ্বে গিয়াস উদ্দিন একরামুল হক ও অলিউল্লাহকে নিয়ে রাসেলকে হত্যা করে লাশ চিওড়া রাস্তার মাথায় ফেলে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট বাহার বলেন, ‘এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি উচ্চ-আদালতও এই রায় বহাল রাখবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা