সালথায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩০
- সালথা প্রতিনিধি
- ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৫
ফরিদপুরের সালথায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হন। এদের ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
শনিবার বিকেলে মাঝারদিয়া গ্রামে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক সহ-সভাপতি সাবক ইউপি চেয়ারম্যান মা সাহিদুজ্জামান সাহিদের বিরাধ চলছে। বর্তমানে স্খানীয়ভাবে সাহিদ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন ইউপি মেম্বার কবির হোসেন ও হামিদ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন তার ছেলে স্বেছাসবক লীগ নেতা মা ফারুক হোসেন। শনিবার বিকেলে উভয় গ্রুপের কয়কশো লোক দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভ্যালা ও ট্যাটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে কয়েক ঘণ্টা চলতে থাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রায়হান ব্যাপারী ও আজিজ মোল্যার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এতে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রায়হান ব্যাপারী (৭২), আহাদ ব্যাপারী (৩২), সাখাওয়াত ব্যাপারী (২৫), মজিদ ব্যাপারী (৩০), আলমগীর ফকির (৩৮), আজিজ মোল্যা (৪৭), বাশার মোল্যা (৫৫), হাসিবুল মোল্যা (২২), হানিফ মোল্যা (৪২), সন্টু ব্যাপারী (৩১), ফরিদ মোল্যা (৫০), চাঁন মিয়া শেখ (৪০), মনির মোল্যা (২৫), আকবর শেখ (৩২), হৃদয় মোল্যা (২০), আরমান মাোল্যা (২৮), রেজাউল শেখ (৫০) ও সুমন মোল্যা (৩৫) সহ ২০ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় স্বেছাসেবক লীগ নেতা মা ফারুক হোসেন বলেন, সাহিদ চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। শনিবার বিকেলে সাহিদের সমর্থক ইউপি সদস্য কবির হোসেনের নৃতৃত্বে রায়হান ব্যাপারীর ওপর হামলা চালায়। তার বাড়িত ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় আমার দলের লোকেরা ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়।
ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, শনিবার বিকেলে ফারুকের সমর্থক বক্কর মেম্বারের বাড়ির পাশ দিয়ে আমাদের সমর্থক মনির ও সুমন মাঝারদিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদেরকে ধাওয়া দেয় ফারুক ও বক্কর মেম্বারের লোকজন। এ নিয়ে পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আমাদের সমর্থক জালাল শিকদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ফায়জুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনা উভয় পক্ষ থেকে কোনো অভিযাগ দেয়নি কেউ। অভিযাগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।