সংঘর্ষে লিপ্ত হলো ১৫ গ্রামের মানুষ, রণক্ষেত্র পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড
আহত ৩০, দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক পৃথক সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
উপজেলার গুলবন্দী, কালামৃধা ও মালিগ্রামে তুচ্ছ ঘটনা ও বাঁজি ফোটানো নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষকালে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা।
জানা গেছে, ঈদের দিনে রাত ৮টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে সংঘর্ষ হয় মানিকদাহ ও হামেরদী ইউনিয়নবাসীর মধ্যে। সংঘর্ষের উভয় দলের ৩০ জন আহত হন। তাদের ভাঙ্গা ও সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঈদের দিন বিকেলে হামেরদী ইউনিয়নের সেনকান্দা গ্রামের কুটি মিয়ার ছেলে শুকুর মিয়া স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে মানিকদাহ ইউনিয়নের পুকুরিয়া রেললাইনের উপর ঘুরতে যায়। এসময় মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের লাভলুর ছেলে এনামুলও পুকুরিয়া রেল লাইনের উপর ঘুরতে যায়। সেখানে শুকুর আলী ও এনামুলের কথা কাটাকাটি হয়। পরে শুকুর আলী তার লোকজন নিয়ে পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে এসে এনামুলকে দোকান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করার খবরে চার গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে হামেরদী ইউনিয়নের সেনকান্দার ১১ গ্রামের মানুষের ওপর হামলা করে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শত শত লোক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইট-পাটকেল নিক্ষেপে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এসময় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে পুকুরিয়া বাজারের প্রায় ১৫টি দোকান ভাঙচুর ও কয়েকটি দোকানের মালামাল লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার রাতে পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে কয়েক গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করি। এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি থানায়।
ওসি জানান, পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও মালিগ্রাম ও কালামৃধাসহ কয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিনরাত কাজ করছি।