ফরিদপুরের পতিতাপল্লীতে বিক্রি করা ২ তরুণী উদ্ধার
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৩, আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৪
ভালো বেতনের চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রথমে ঢাকায় এনে এবং পরে ফরিদপুরের পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেয়া দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাচার চক্রের দুই নারী ও দুই যুবককে আসামি করে মামলার পর পুলিশ এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাসানুজ্জামান এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার আসামির নাম পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮), তিনি আসাদ শেখের স্ত্রী এবং রথখোলা পতিতাপল্লীর বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন (৩০), জহির (৩০) ও গোয়ালচামট খোদাবক্স রোডের বাসিন্দা ইলিয়াস কসাইয়ের স্ত্রী পতিতা সর্দারনি ববি (৩৮)। আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় মিলেনি।
ওসি জানান, ‘চাঁদপুরের কচুয়া থানার কড়ইশ এলাকা থেকে গত ১০ মার্চ পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন। পরে দু’দিন সেখানে রেখে তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়া হয় তাকে। ওই তিন ব্যক্তি সেদিন সন্ধ্যায় মেয়েটিকে রথখোলা পতিতাপল্লীতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। পরের দিন একটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে জানায়, এখন থেকে সে পতিতাপল্লীর একজন লাইসেন্সধারী সদস্য।’
ওসি আরো জানান, ‘মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যান্যদের মাধ্যমে জোর করে খরিদ্দারদের মনোরঞ্জনে বাধ্য করা হয়। এর মধ্যে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খরিদ্দারকে তার ছোট বোনের মোবাইল নম্বর দেন। পরে ওই খরিদ্দারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ সেখানে অভিযান চালানোর পর ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেকটি মেয়েও তাকে উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চান।’
ফেনীর তরুণী জানান, ‘তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা পতিতাপল্লীতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান আরো জানান, এ ঘটনায় চাঁদপুরের ওই মেয়েটির মায়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে রোববার (২৪ মার্চ) পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেফতার করে।’
বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।