২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বড় ভাই পুলিশকে তথ্য দেয়ায় প্রতিশোধ নিতে ছোট ভাইকে হত্যা

গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামি মোহাম্মদ হোসেন। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বড় ভাই পুলিশকে তথ্য দেয়ায় প্রতিশোধ নিতে তার ছোটভাইকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর কিশোর জাহিদুল হত্যার দায় শিকার করে আদালতে এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে অভিযুক্তরা। হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো: ইকবাল হোছাইন এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জাগৎসার গ্রামের এলাছ মিয়ার চার ছেলের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করতেন। ১৭ রমজান ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি বের হয়ে আর ফেরেনি। পরদিন সকালে সুতানপুরে একটি পুকুরে জাহিদুলের লাশ পাওয়া যায়। জাহিদুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে নাড়ি-ভূরি বের করে ফেলা হয়। দুই হাতের কব্জির রগ ও বিশেষঅঙ্গও কেটে ফেলা হয়। দুই কানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কাটা পাওয়া যায়।

ইকবাল হোছাইন আরো জানান, ঘটনা তদন্তে নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার তথ্যে একই গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৪) ও সিয়াম (১৫) নামে দু‘জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।

আটকদের উদ্ধৃতি দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে। জাহিদুলের পরিবারের সাথে পূর্ব বিরোধ ছিল মোহাম্মদ হোসেনের। দীর্ঘদিন আগে একটি নারী নির্যাতন আইনের মামলায় মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তাকে পুলিশ খুঁজছিল। গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে তাকে ধরতে জাহিদুলের বড় ভাই সানাউল পুলিশকে সহায়তা করেছিলেন। এ থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় কিশোর মো: সিয়ামকে দিয়ে কৌশলে সানাউলের ছোট ভাই জাহিদুলকে ডেকে আনেন মোহাম্মদ হোসেন। তাকে সুলতানপুরের একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে মোহাম্মদ হোসেন ও তার বন্ধু নজরুল ইসলামসহ আরো দু‘জন মিলে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেন।


আরো সংবাদ



premium cement