গাজীপুরে ভাড়ার টাকা চাওয়ায় মালিককে খুন
- মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর থেকে
- ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ২০:০৩
গাজীপুরে বাড়ি ভাড়া চাইতে গিয়ে নিখোঁজের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর হাত-পা বাঁধা বাড়ির মালিক এক নারীর বস্তাবন্দী আংশিক গলিত লাশ ভাড়াটিয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুই বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার জিএমপি’র কোনাবাড়ি জোনের সহকারী কমিশনার দিদারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতের নাম- মনোয়ারা বেগম ওরফে রেখা (৪০)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুই বাড়ি এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে এবং ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী।
জিএমপি’র ওই কর্মকর্তা নিহতের স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুই বাড়ি এলাকায় বাবার বাড়িতে থেকে দেখাশুনা করতেন আব্দুল মান্নানের মেয়ে মনোয়ারা বেগম ওরফে রেখা। এ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন জাকির-হাবিবা দম্পতি। এ দম্পতির কাছে ৫ মাসের বকেয়া বাড়ি ভাড়া পাওনা রয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে পাওনা ওই টাকা চাইতে গিয়ে নিখোঁজ হন রেখা। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। এ ব্যাপারে রেখার ছোটভাই রাকিব থানায় অভিযোগ করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নিখোঁজের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির ভাড়াটিয়া জাকির-হাবিবার তালাবদ্ধ ঘরে তল্লাশি চালানো হয়।
এ সময় ওই ঘরের খাটের নিচ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মনোয়ারা বেগম ওরফে রেখার আংশিক গলিত লাশ পাওয়া যায়। তার হাত ও পা নাইলনের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রচণ্ড গরমের কারণে তার লাশে পচন ধরে আংশিক বিকৃতি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া দম্পতি জাকির ও হাবিবা পলাতক রয়েছেন। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশটি গুম করার উদ্দেশে বস্তাবন্দী করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।