কাপাসিয়ায় ভাগ্নেকে ফাঁসাতে খুন, মামা গ্রেফতার
- গাজীপুর থেকে
- ১১ মে ২০২২, ২৩:৪৫
গাজিপুরের কাপাসিয়ায় ভাগ্নেকে ফাঁসাতে ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে ও মারধর করে হত্যা করা হয়। জাহিদের মামা আব্দুর রব ভূইয়া ওরফে রবিন ও তার সহযোগিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।
বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুর পিবিআই-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রব ভূইয়া ওরফে রবিন ভূইয়া (৫৫) গাজীপুরের কাপাসিয়া থানাধীন সালুয়াটেকি এলাকার মৃত হাজী আব্দুল মোতালিব ভূইয়ার ছেলে।
পুলিশ সুপার জানান, ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট সকালে কাপাসিয়া উপজেলার সালয়াটেকি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলীর (৩০) লাশ উদ্ধার করে কাপাসিয়া থানার পুলিশ। নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের মা মোর্শেদা বেগম ১০ জনের নামে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন। কাপাসিয়া থানা পুলিশ প্রায় চার মাস মামলাটির তদন্ত করে। পরে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের নির্দেশে চাঞ্চল্যকর এ মামলার পরবর্তী তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআই-এর গাজীপুর শাখাকে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এ ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আব্দুর রব ভূইয়া গাজীপুরের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদকালে আব্দুর রব জানান, নানার বাড়ির সম্পত্তির ওয়ারিশ নিয়ে সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের সাথে তার মামা রবিন ভূইয়ার বিরোধ দেখা দেয়। নিহত ইদ্রিস আলী জাহিদের পক্ষ নিয়ে তাকে জমি দখলে সহযোগীতা করেন। পরে জাহিদের সাথে মনোমালিন্য হলে ইদ্রিস আলী পক্ষ পরিবর্তন করে রবিন ভূইয়ার সাথে যোগ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইদ্রিস আলীকে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখায় জাহিদ। এই সুযোগে দুখু মিয়া ওরফে সুমন ও তার সহযোগীদের নিয়ে ইদ্রিসকে হত্যার পরিকল্পনা করে জাহিদের মামা রবিন ভূইয়া।
তিনি আরো বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ১২ লাখ টাকা চুক্তি হয়। পরে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট রাতে ইদ্রিসকে তার বন্ধু মেজবাহ উদ্দিনকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে পুকুর পাড়ে ডেকে আনেন। সেখানে শ্বাসরোধে ও গলা কেটে হত্যা করেন তারা। পরে রবিন ভূইয়ার বাড়ির যে ঘরে মাঝে-মধ্যে জাহিদ ঘুমাতো ওই ঘরের পেছনে পুকুরপাড়ে ইদ্রিসের লাশ ফেলে রেখে তারা চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত রবিন ভূইয়া মঙ্গলবার আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এদিকে একই মামলার অপর গ্রেফতারকৃত আসামি কাপাসিয়ার শহরটেক এলাকার মো: লিটন মিয়ার ছেলে দুখু মিয়া ওরফে সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।