শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল
- মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা
- ০৭ মে ২০২১, ১৫:৩৮
ঈদুল ফিতর আসন্ন। ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিঘাটে।
শুক্রবার সকালে এমন দৃশ্য দেখা যায় ঘাট এলাকায়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দিনের বেলায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। রাতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। পদ্মায় লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের অত্যাধিক চাপে ফেরিগুলোতে পার করা যাচ্ছে না গাড়ি। এতে ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পরেছে ব্যাক্তিগত ও পন্যবাহী সাত শ’র অধিক যানবাহন।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, আসন্ন ঈদ ও শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অত্যাধিক যাত্রীদের চাপ পরেছে। যানবাহন ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারের চেষ্টা করা হচ্ছে। নৌরুটে এখন ১৩টি ফেরি চলছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদকে সামনে রেখে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট দিয়ে ঘরে ফিরছে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। ভোর থেকে এ রুটে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৩টি ফেরি রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকায় ৯টি ছোট ফেরির পাশাপাশি চারটি বড় ফেরি পারাপারে নিয়োজিত রেখেছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ। সরকারে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছেন যাত্রীরা।
বরিশাল বানারীপাড়ার সবুজ নামের একজন জানান, ঈদে বাড়িতে যাচ্ছি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও যেতেই হবে কারণ ঈদ একা ঢাকাতে থাকতে পারব না। বাবা, মা, ভাইবোন রয়েছে গ্রামে। এক বছর পরে যাচ্ছি। আবেগ আর অনুভূতি আলাদা। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা তো আছেই। তার পরও পাঁচগুণ বেশি ভাড়া দিয়েই যাচ্ছি। কি আর করার।
রবিউল নামে এক যাত্রী জানান, বাবাকে দেখা হয় না ছয় মাস। বাবাকে ছাড়া ঈদ কল্পনাও করা যায় না। অসুস্থ বাবা শুধু আমার পথ চেয়ে বসে আছে। তাই শত বাধার ভেতরেও যাচ্ছি গ্রামের বাড়ি। দেখা হবে সবার সাথে। স্ত্রী-সন্তানকেও নিয়ে যাচ্ছি। করোনা প্রাদুর্ভাব বাড়ছে জেনেও যেতে হচ্ছে।
ঘাটের ব্যবস্থাপক মো: শফিকুল ইসলাম জানান, সাপ্তাহিক ছুটি দিন ও অন্যদিকে সামনে ঈদ থাকায় যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরি সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা