২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সালথায় নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ

- ছবি - নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের সালথায় রবিশষ্য চাষাবাদে নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে তেল বীজ জাতীয় ফসল সূর্যমুখী ফুলের চাষ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে সালথার বিভিন্ন গ্রামে এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন চাষীরা। এতে করে উৎকৃষ্টমানের ভোজ্য তেলের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও স্বল্প খরচে বাম্পার ফলনে লাভবান হওয়ার আশা করছেন চাষীরা।

উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বারসুয়ারকান্দী গ্রামের সূর্যমুখী চাষী কৃষক কিবরিয়া হোসেন বলেন, প্রথমবারের মত এবার এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছি। জমিটি পতিত ছিল। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে সূর্যমুখী ফুল চাষাবাদ করেছি। এতে আমি ভালো লাভবান হবো বলে আশা করছি।

পুরুরা গ্রামে সূর্যমুখী ফুল চাষী রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলা থেকে বীজ পাঠিয়েছে সেজন্য আট কাঠা জমিতে প্রথমবার চাষ করেছি। তবে এই চাষে কোনো প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয়নি। ফলন খুব ভাল হয়েছে আগামী বছর তিন বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করার ইচ্ছা আছে। অনাবাদি জমিতে কম খরচে অধিক ফলনের সম্ভাবনায় চাষ করা হয়েছে এই ফসল।

সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, সালথার কৃষিতে সূর্যমুখী এক নতুন সংযোজন। উপজেলায় প্রথমবারের মতো এবার তিন হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ করা হয়েছিল। সালথায় রবি মৌসমে যেখানে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ পেঁয়াজ চাষ করা হয়। সেখানে নতুন একটি ফসলের চাষ করানো কিছুটা কষ্টকর হলেও কৃষকদেরকে সূর্যমুখী চাষের ব্যাপারে উদ্বুব্ধ করা হয়েছে। এতে সার্বিকভাবে দেশে তেল ফসলের আবাদ বাড়বে। এ ছাড়া কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হবে। এতে করে বিদেশ থেকে তেল আমদানি ক্রমেই কমে আসবে।


আরো সংবাদ



premium cement