টঙ্গীতে মহিলা আওয়ামী লীগের পিঠা উৎসবে প্রতিপক্ষের হামলা
- গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা
- ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:১৮
গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে মহিলা আওয়ামী লীগের পিঠা উৎসবে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। হামলাকারীরা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত নেতাদের বহনকারী একটি গাড়িও ভাংচুর করেছে হামলাকারীরা। শনিবার রাতে টঙ্গীর এরশাদ নগর মজিদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা ও মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের ‘হাইব্রিড আওয়ামী লীগ’ বলে দাবি করেছেন পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগ নেতারা। ঘটনার পর জিএমপি টঙ্গী জোনের পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পিঠা উৎসবে গাজীপুর সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলে আয়োজকরা জানান।
জানা গেছে, টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা মহিলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে শনিবার বিকেলে এরশাদ নগর মজিদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ৭টার দিকে নেতা-নেত্রীরা স্কুল মাঠ ত্যাগ করে প্রধান ফটক অতিক্রম করার সময় তাদের সামনে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ হয়। এসময় অতর্কিতে একদল যুবক হামলা চালিয়ে আমন্ত্রিত নেতাদের বহনকারী একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-০৯৩২) ভাংচুর করে। গাড়ির ভেতর থাকা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী সেলিম, এম এম নাসির উদ্দিনসহ কয়েকজন নেতা আহত হন।
হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী জুয়েল (৪৫) ও টঙ্গী পূর্ব থানা মহিলা আওয়ামী লীগের ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক শিরিন শিলাকে আহত হলে তাদেরকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামরুলের বলে জানা গেছে।
হামলাকারীরা হাত বোমা ও গুলি বর্ষণ করেছে বলে ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেছেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগ নেতারা। বেশ কয়েকজন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীও আহত হয়েছেন বলে তারা দাবি করেছেন। তবে তারা আহত নেত্রীদের নাম প্রকাশ করেননি। হামলাকারীদের ‘হাইব্রিড আওয়ামী লীগ’ দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিঠা উৎসবে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগ নেতা এম এম নাসির উদ্দিন।
হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা বলেন, সন্ত্রাসীরা অতিথিদের হত্যার উদ্দেশ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।
৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ বলেন, যারা অতিথিদের ওপর অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
এ দিকে এব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আয়োজকরা পুলিশের কাছ থেকে অনুষ্ঠানের কোনো অনুমতি নেননি। অনুষ্ঠানের অদূরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টহল পুলিশ ডিউিটিরত ছিল। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েই টহল পুলিশ তৎক্ষনাত ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। কিন্তু ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সিসি টিভির ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা