২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সিরাজদিখানে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর

সিরাজদিখানে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর - ছবি : নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নে পারস্পারিক শত্রুতার জের ধরে মুসলিম এক নারীকে ফাঁসাতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। দয়াল মন্ডল ও গুপিন চাঁন মন্ডল একই গ্রামের মিন্না বেগমকে ফাঁসানোর জন্য প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সকাল ৯টায় লক্ষীবিলাস বৌদ্ধ পাড়া গ্রামে বিশ্বকর্মা মন্দিরে এমন ঘটনা ঘটে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সচিন্দ্র মন্ডলের ছেলে দয়াল মন্ডল ও গুপিন চাঁন মন্ডলের সাথে নুরু শেখের স্ত্রী মিন্নির দীর্ঘ দিন ধরে টাকা ও জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিভিন্ন সময় বিচারের মাধ্যমে মীমাংসা করতে চাইলেও সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে মিন্নি বেগম বলেন, আমি আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে দয়াল মন্ডলের স্ত্রী আমাকে গালাগালি করেন। আমি গালাগালির প্রতিবাদ করলে আমকে দায়াল মন্ডল ও গুপিন চাঁন মন্ডল মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পড়ে যাওয়ার পর বাড়ির সবাই মিলে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। এসময় আমার চিৎকার শুনে আমার ভাই জাহাঙ্গীর এসে আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য নিজেরা প্রতিমা ভেঙে আমার ওপরে দোষ চাপিয়েছে।

দায়াল মন্ডল বলেন, ‘মিন্নি এসে আমাদের গালাগালি করে। ওই সময় আমি বলি তুই বকাবকি করিস না। সম্পত্তি নিয়ে কোর্টে মামলা আছে মামলায় যা হওয়ার তা হবে। এই কথা সুনে মিন্না ওর ভাইকে ফোন দিয়ে স্বজনদের ডেকে নিয়ে আসে। আমাদের বলে এক মিনিটও ওদের এই এলাকায় থাকতে দিমু না। এই কথা বইলা ওরা মন্দির ভেঙে চলে গেছে।’

মন্দিরের সভাপিত সঞ্জিত মন্ডল বলেন, মন্দিরের প্রতিমা কে বা কারা ভাংচুর করেছে সেটা কেউ দেখেনি। আমি লোকমুখে জানতে পেরে এখানে এসে দেখি প্রতিমা ভাঙ্গা।

থানায় অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে না জানিয়ে গুপিন চাঁন মন্ডল থানায় অভিযোগ করেছেন।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রিজাউল হক বলেন, পারস্পারিক শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দিরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।


আরো সংবাদ



premium cement