২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হোসেনপুর পৌরসভা পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে

- নয়া দিগন্ত

পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাব, ট্রাক নষ্ট ও ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে মশা-মাছি ও ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভা। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল ও কাজকর্ম কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরী প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন।

সূত্র মতে, ২০০৬ সালে পাঁচ দশমিক ৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এ পৌরসভা। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে পৌরসভাটি বি-গ্রেডে উন্নীত হয়। কিন্ত গত চৌদ্দ বছরেও পৌর কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে না পারায় পৌরবাসী বাধ্য হয়েই ময়লার ভাগাড়ের মাঝে বসবাস করছেন। তাছাড়া এসব ময়লার কারণে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের উৎকট দুর্গন্ধের মধ্যে পথ চলতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে ময়লা ফেলার জন্য সরকারি বরাদ্দে দুটি গার্বেজ ট্রাক কেনা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় গার্বেজ ট্রাক দুটি বর্তমানে অবহেলায় ও রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার সবজি মহাল, ধান মহাল, কাপড়পট্রি, পোস্ট অফিসের পিছনে পড়ে রয়েছে ময়লার স্তুপ।

এ সময় অনেক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ময়লা ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ডাস্টবিন না থাকায় প্রতিদিন বাসাবাড়ির ময়লা এসব স্থানে ফেলায় দুর্গন্ধে বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে।

পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মো: কাজল মিয়া জানান, আগে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা ফেলার জন্য ৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও দু'জন ট্রাক চালক ছিলেন। বর্তমানে পরিচ্ছন্নকর্মী ৯ জনের স্থলে এখন দু'জন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে হোসেনপুর পৌর মেয়র আব্দুল কাইয়ুম খোকন কিছু জায়গায় ময়লা-আবর্জনার কারণে পৌরবাসীর সাময়িক অসুবিধার কথা স্বীকার করে বলেন, পৌরসভার ময়লা ফেলার জায়গা ও জনবল সঙ্কটের কারণে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লার ভাগাড় তৈরি করা যাচ্ছে না। ভেবে-চিন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement