২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দেশে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ‘এইচআইভি’ পজিটিভ নারী

দেশে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ‘এইচআইভি’ পজিটিভ নারী - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশে ‘এইডস’ এর বর্তমান পরিস্থিতি, যৌনকর্মীদের সাথে এর সম্পর্ক এবং এইডস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক এক অ্যাডভোকেসী সভা বুধবার দুপুরে শহরের ডিসি লেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ড্রপ ইন সেন্টার’ (ডিআইসি) টাঙ্গাইল ইউনিট এ সভার আয়োজন করে।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে এইচআইভি ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সারাদেশে সাত হাজার ৩৭৪ জন নারী এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ২৪২ জন। শুধু ২০১৯ সালেই মারা গেছেন ১৭০ জন। এছাড়া ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রাহিঙ্গাদের মধ্যে ১০৫ জন এইচআইভি পজিটিভ রয়েছেন।

সভা সঞ্চালনা করেন ডিআইসি টাঙ্গাইল’র কো-অর্ডিনেটর রিবাদ কিরন আকন্দ। ফোকাল পার্সন ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নয়া দিগন্ত’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মালেক আদনান, জেলা কালেক্টরেট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক রিয়ান রাজা ও মোহনা টিভির টাঙ্গাইল প্রতিনিধি রেজওয়ান শরিফ। এছাড়া ডিআইসি টাঙ্গাইল’র ফিল্ড সুপারভাইজার পারভীন আক্তার ডলি ও সাংবাদিক প্রতিনিধি সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

সভায় আরো জানানো হয়, টাঙ্গাইল সদরের পতিতাপল্লী ও মধুপুর বন এলাকায় বিপুল সংখ্যক নারী পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত। এর বাইরে শহরের পাঁচটি আবাসিক হোটেলে ৫৯ জন, কিছু বাসা-বাড়িতে ৩১৮ জন এবং ভ্রাম্যমান ৩৯৯ জন নারী পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত। তাদের মধ্যে এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করছে ডিআইসি।

বক্তারা বলেন, এইচআইভি ভাইরাস পজিটিভ কারো শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ এবং জন্মগতভাবে ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়িয়ে থাকে। তবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি সচেতনতামূলক কিছু কাজ করলে এইচআইভি প্রতিরোধ করা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement