২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কৃষকের মুখে হাসি ফোটালো আউশ ধান

কৃষকের মুখে হাসি ফোটালো আউশ ধান - ছবি : নয়া দিগন্ত

সম্প্রতি যমুনা নদীর ভয়াবহ বন্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে বীজতলা পচে নষ্ট হয়ে গেলেও উঁচু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ না করায় চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আউশ ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছ। ফলে ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, আউশ চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধান, গম এবং পাট বীজ উৎপাদন সংগ্রহ সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের অর্থায়নে আউশ ধান চাষ করা হয়। এ বছর উপজেলায় আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রায় মোট এক হাজার চার’ শ পাঁচ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়। তার মধ্যে গাবসারা, অর্জুনাসহ চরাঞ্চলে ছিল নয়’শ হেক্টর জমিতে।

এছাড়াও গোবিন্দাসী, নিকরাইল, ফলদা, অলোয়া ও পৌরসভায় আউশ চাষাবাদ করা হয়েছিল। বন্যায় তা তলিয়ে মোট দুই শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে ফলন ব্যাপক হয়েছে। আউশ ধান সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের শিয়ালকোল এলাকায় শস্য কর্তন নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। নমুনা সংগ্রহ ও শস্য কর্তন উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার আল-মামুন রাসেল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এস এম রাশেদুল হাসান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ হযরত আলী প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এস এম রাশেদুল হাসান জানান, বন্যায় রোপনকৃত আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে অবশিষ্ট যা আছে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় গতবারের তুলনায় আরো ভাল ফলন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নমুনা সংগ্রহ শস্য কর্তন চলছে। আউশ ধান প্রতি বিঘায় ২১ মণ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আল-মামুন রাসেল বলেন, উপজেলায় চলতি মৌসুমে আউশ ধানের ফলন ভাল হয়েছে। উৎপাদন সংরক্ষণ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে শস্য কর্তন শুরু হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement