২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পলাশে নির্মাণের ১০ দিনেই ধসে গেল কোটি টাকার সড়ক

পলাশে নির্মাণের ১০ দিনেই ধসে গেল কোটি টাকার সড়ক - নয়া দিগন্ত

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে এলজিইডি এর গ্রামীণ উন্নয়ন সড়ক নির্মাণে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। নিন্মমানের ইট, বালি, কার্পেটিং দিয়ে কোনো রকম তৈরি করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকার বরাদ্ধকৃত গ্রামীণ উন্নয়ন সড়ক। যার কারণে নির্মাণের কয়েকদিনের মধ্যেই ভেঙে পড়ছে অধিকাংশ সড়ক। ঠিকাদারদের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো রকম ব্যবস্থা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে সড়ক নির্মাণে দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে ঠিকাদাররা।

জানা যায়, গত কয়েকমাস আগে এলজিইডির জিডিবি ৪ প্রকল্পে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের সানের বাড়ি স্কুল থেকে শরিফখান মাজার রোডের ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ করা হয়। সড়কটি নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যে ধসে পড়ে এর অধিকাংশ স্থান। নিন্মমানের কাজের কারণে সড়কটির এই বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সড়কের পাশে বসবাসরত একাধিক বাসিন্দা।

সানের বাড়ি গ্রামের মকবুল হোসেন জানান, করোনার শুরুতে সড়কটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ঠিকাদার কামাল হোসেন নিন্মমানের ইট ও কার্পেটিং ব্যবহার করে কোনো রকম তড়িঘড়ি করে সড়কটি নির্মাণ করেন। যার কারণে নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যে সড়কের অনেক স্থান ধসে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও কোনো খোঁজখবর নেয়নি সরকারি কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার কামাল হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে সড়কের কিছু স্থান ধসে যায়। যা পরবর্তীতে ঠিক করে দেয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, ঠিকাদার কামাল হোসেনের নির্মিত অধিকাংশ সড়কই নিন্মমানের হওয়ায় নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যে তা ভেঙে যায়। গত বছর জিনারদীর গাবতলি গ্রামে নির্মিত সড়কটি উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ে। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে পুনরায় সংস্কার করে ঠিকাদার কামাল হোসেন। এ দিকে ঠিকাদারদের দ্বারা একাধিক সড়কের বেহাল অবস্থা হলেও এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি।

এসব বিষয়ে জানতে পলাশ উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াদুল কুদ্দুসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

তবে এলজিইডি নরসিংদী নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো: আবু জাকির সেকান্দার বলেন, নিম্নমানের কাজের জন্য কোনো ঠিকাদারকেই ছাড় দেয়া হবে না। বিষয়গুলো খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement