স্ত্রীকে তালাক দিতে প্রভাবশালীদের চাপ, অভিযোগ স্বামীর
- সোহেল রানা, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)
- ১২ মে ২০২০, ১৭:০১
মারধোর করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে জোড়পূর্বক তালাক দিতে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে স্বজন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের কুড়িপাড়া পদমদী গ্রামে।
উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের কুড়িপাড়া পদমদী গ্রামের মৃত কেছমত আলী শেখের ছেলে মো. আব্দুর রব শেখ বলেন, ২০১১ সালের ৮ অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলার দৌলৎপুর উপজেলার বিলগাথুয়া গ্রামের সুন্নত আলী মন্ডলের মেয়ে আশোরা বেগমের সাথে কাবিননামা মুলে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছি। প্রথম স্ত্রী মামলা দায়ের করলেও সে আমার বাড়ী ও নিজের নামের জমি ভোগদখল করে আসছে। পরে মামলা তুলে নেওয়াসহ দু,জনকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। এ নিয়ে আমার ভাতিজা রফিক, ছেলে মামুন, বড় স্ত্রী সাহেরা খাতুন, কাদের, মাহফুজ জোড়পূর্বক দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে উঠেপড়ে লাগে।
জোড়পূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়াসহ জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার ষড়যন্ত্র ও মারধোর করে। পরে ইসলামপুর ইউনিয়নের বারাদি গ্রামে আইয়ুব হোসেনের বাড়ীতে ভাড়া থেকে বসবাস করছিলাম। সোমবার সকাল ১০টার দিকে আমাকে মারধোর করে ওই ভাড়া ঘরে তালা দেয়াসহ সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহণ করে জাল তালাকনামা সৃজনের চেষ্টা করছে। আমি দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়নি। আমাকে হত্যা করতে পারে। আমি জীবন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
ওই গৃহবধূ আশোরা বেগম বলেন, আমাকে তালাক দিতে মারধোর করাসহ সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছেন রফিক, মামুনসহ স্থানীয় কয়েকজন। ভাড়াটিয়া বাসায়ও তালা মেরে দিয়েছে। এখন আমি স্বামীকে নিয়ে পথে পথে ঘুরছি। আইনের আশ্রয় নিতেও পারছি না। আমাদের পেলে যে কোনো সময় হত্যাসহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
ভাড়াটিয়া বাড়ীর মালিক আইয়ুব হোসেন বলেন, আমার বাড়ীতে ৩-৪দিন ভাড়া ছিল। লোকজন এসে ওই রুমে তালা মেরে দিয়েছেন। আর কি হয়েছে বা কোথায় আছে বলতে পারবো না।
মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে গেলে ঘোনার ঘাটে আঃ রবের ছেলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মনজুর উপর চড়াও হয়। বলতে থাকে, বাপকে থামাতে পারছি না। আবার লোকজন আমাদের পিছে লাগে। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা