ইউটিউব দেখে ককটেল বানাতে গিয়ে আহত ৩ স্কুলছাত্র
- আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ
- ৩০ এপ্রিল ২০২০, ১২:২৩, আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০, ১৩:২৯
তিনজনেরই বয়স ১২ বছর। পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ইউটিউব দেখে ককটেল বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয়েছে তিনজন। বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাদের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাসলিমা আনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত ওই তিন ছাত্র গজারিয়ার বাউশিয়ার এম এ আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা হলো উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের মহসিনের ছেলে সাকিবুল, নজরুলের ছেলে রাব্বি ও সফিকের ছেলে হাসান।
স্থানীয়রা জানান, গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের মহসিনের বাড়িতে রাতে ককটেল বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, মহসিনের ছেলে সাকিবুল, তার ভাতিজা রাব্বি ও ভাগিনা হাসান গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছে।
গজারিয়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে গজারিয়া থানার চরবাউশিয়া বড়কান্দি সাকিনে চা দোকানদার মহসিনের চৌচালা বসত ঘরে ককটেল বা এই ধরণের কোনো বিস্ফোরক তৈরি করার সময় কিংবা পূর্বে তৈরি করা বিস্ফোরক নাড়াচাড়া করার সময় তিন স্কুলছাত্র গুরুতর আহত হয়। এতে হাসানের দুটি পায়ের মাংস বিচ্ছিন্ন হয়ে মারাত্মক আহত হয় এবং হাতেও আঘাত লাগে। রাব্বির পেটে স্প্রিন্টারের আঘাত লাগে এবং সাকিবুলের ডান পায়ে পেটে ও থুতনিতে আঘাত লাগে। আহত তিনজনকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হান্নান মেম্বার জানান, বিস্ফোরিত হওয়ার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ইউটিউব দেখে ককটেল বানাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। তিনজন ২০টি ককটেল বানাচ্ছিলো। এর মধ্যে ১৮টি তৈরি হয়ে গেছে। এরই মধ্যে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘরের দক্ষিণ পাশ্বের টিনের বেড়া পুড়ে যায়। ককটেল বানাতে গিয়ে তিনজনই আহত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, হান্নান মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন মহসিনের এক ছেলে ও তার দুই বন্ধু রাতে ককটেল তৈরি করা আরম্ভ করে। ১৮টি ককটেল তৈরি হয়ে যায়। শেষ দুটি ককটেল বানাতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর আহত হয় মহসিনের ছেলে ও তার দুই বন্ধু।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নয়াদিগন্তকে জানান, অবৈধভাবে বিস্ফোরক বহন ও বিস্ফোরণ ঘটানোর কারণে উল্লেখিত তিনজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।