২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিধবার ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিলো ছাত্রলীগের কর্মীরা

বিধবার ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিলো ছাত্রলীগের কর্মীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাসে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এক বিধবা নারীর বোরো ধান কেটে দিলেন কটিয়াদী পৌরসভার সদ্য সাবেক ছাত্রলীগের কর্মীরা।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যদিও কিছু শ্রমিক পাওয়া যায় তাদেরকে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার পারিশ্রমিক বাবদ জন প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা দিতে হয়। এতে এলাকার কৃষকরা বোরো জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। কটিয়াদী পৌরসভার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কাহেতের টেকি গ্রামের মৃত মোঃ হাছেন আলীর স্ত্রী মোছাঃ নূরজাহান তার জমির ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। সেই সময় এগিয়ে আসেন কটিয়াদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সম্রাট আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদ, ছাত্রনেতা মোঃ আজিম, মোবরক হোসেন, সোহাগ আহমেদ, মিজানুর রহমান, জুমন আহমেদ, বকুল হোসেন ও সিজান হোসেনসহ ১৫/২০ জন নেতা-কর্মী। তারা কাদা-পানি, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিনা পারিশ্রমিকে বিধবার বোরো জমির ধান কেটে তার বাড়ি পৌঁছে দেন।

বিধবা মোছাঃ নূরজাহান বলেন, চড়া মূল্যে কামলা দিয়ে ধান কাটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই খুব চিন্তিত ছিলাম। আল্লাহর রহমতে ছাত্রলীগের এই বাচ্চারা আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে।

পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সম্রাট আলমগীর হোসেন জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ ওমান খানের নির্দেশক্রমে স্বেচ্ছাশ্রমে আমি এবং আমার কর্মীরা মিলে এলাকার দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব দরিদ্র কৃষকদের জমির ধান কেটে দিব।


আরো সংবাদ



premium cement