টাঙ্গাইলে ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি
- মালেক আদনান, টাঙ্গাইল
- ২২ এপ্রিল ২০২০, ২০:১৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে বিদ্যুতিক খুঁটি। ভেঙে পড়েছে শতাধিক গাছপালা। কোথাও আবার ঘরের টিন উড়ে গিয়ে ঝুলে আছে গাছের ওপর ও বিদ্যুতের তারে।
কালিহাতীর ইউএনও শামীম আরা নীপা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেও ঝড় ও শীলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের ইছাপুর, নারান্দিয়া ইউনিয়নের ঘড়িয়া, পালিমা ও এলেঙ্গা পৌরসভার মিরপুর এলাকায় বুধবার বিকেলে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। সাথে ছিলো শীলাবৃষ্টি। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সবকিছু। ব্যাপক ক্ষতি হয় বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, সবজি ও ধানী জমির। এ অবস্থায় কৃষকদের এখন মাথায় হাত। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইছাপুর গ্রামে। ঝড়ে পুরো গ্রামের চিত্রই পাল্টে গেছে।
ইছাপুর গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে দোকানপাটসহ প্রায় ৫০টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের উপর শতাধিক গাছ ও কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও সড়ক যোগাযোগ। এ সময় বেশকয়েকজন আহত হন।
মিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, আমার ৯০ শতাংশ ধানী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর কয়েকদিন পরেই ইরি ২৮ নম্বর ধান কাটতে পারতাম। কিন্তু শীলাবৃষ্টিতে সব পাকাধান আছড়ে পড়েছে। এছাড়া ইরি ২৯ নম্বর ধানের শীষেও এখন আর কোন ধান নেই। সব পড়ে গেছে। একই গ্রামের কৃষক আলী আকবর জানান, তার ১২০ শতাংশ জমিতে এখন আর ধান নেই। আছে শুধু খড়। সব ধান শীলাবৃষ্টিতে শীষ থেকে পড়ে গেছে। আক্ষেপের সাথে সবজি চাষী জহুরুল ইসলাম জানান, ক্ষেতে এখন আর কিছুই নেই। সব নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান।
কালিহাতীর ইউএনও শামীম আরা নীপা জানান, ঝড়ে ২০/২২টি ঘরবাড়ি, কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পেয়েছি। কিন্তু কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা