২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মুন্সীগঞ্জে প্রকৌশলীকে বেধড়কভাবে পেটালো কনস্টেবল

-

মুন্সীগঞ্জ শহরের শ্রীপল্লী এলাকায় সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে শুক্রবার রাতে নির্মমভাবে পিটিয়েছে বাড়ির ভাড়াটিয়া পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম। তিনি (নং ৫৪৭) মুন্সীগঞ্জ সদর ফাঁড়িতে কর্মরত।

সফটওয়্যার প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান সালিন জানান, করোনা পরিস্থিতির জন্য সকলের স্বার্থেই বাড়িটির ফটক তালাবদ্ধ করা রাখা হচ্ছে। কেন তালাবদ্ধ করা হচ্ছে এই নিয়ে ওই পুলিশ সদস্য বেলা আড়াইটায় প্রথমে বাড়িটির মালিক তার মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শামীমা বেগমের সাথে অশালীন আচরণ করে। তখন হাবিবুর রহমান এসে প্রতিবাদ করতেই তুই তুকারি করে কথা বলা শুরু করেন। তার সাথে আপত্তিকর আচরণ করেই আকস্মিক হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটাতে থাকেন। তার এলোপাথাড়ি আঘাতে কপাল কেটে দর দর করে রক্ত ঝরতে থাকে ওই প্রকৌশলীর। তার বৃদ্ধ মা চেষ্টা করে শেষ রক্ষা করতে পারেননি।

এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন ওই কনস্টেবল। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি যেন না করা হয় তার জন্য হুমকিও প্রদান করেন ওই পুলিশ সদস্য। রক্তাক্ত অবস্থায় করোনায় লকডাউনের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছ থেকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন ওই প্রকৌশলী।

অভিযুক্ত কনস্টেবল বলেন, ‘বাড়ির ফটকে তালা দেয়ার কারণে বাসায় যাওয়া-আসা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, তেমন কিছুই হয়নি। এই বাড়িটিতে তিন মাস ধরে থাকি। চাকুরীর সুবাদে ১৩ বছর ধরে মুন্সীগঞ্জে আছি।’

সদর থানার ওসি আনিছুুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, শনিবার পর্যন্ত এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিভাবে আমাদের পুলিশ সদস্যের দোষ ছিল বলে মনে হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ সুপার স্যারও অবহিত আছেন। তার (কনস্টেবল রফিক) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাবিবুর রহমান সালিন ঢাকার মহাখালীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। এদিকে ঘটনাটি জানাজানির পর ওই পুলিশ কনস্টেবলসহ আর কয়েক পুলিশ সদস্য তাদের বাসায় গিয়ে সরি বলে অভিযোগ না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে গেছেন। কিন্তু ওই পুলিশ সদস্য মামালযোগ্য অপরাধ করার পরও তাকে গ্রেফতার না করে, কেন রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন পরিবারটির।


আরো সংবাদ



premium cement