২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দৌলতদিয়া ঘাটে পোশাককর্মীদের উপচে পড়া ভিড়

দৌলতদিয়ায়ঘাটে কর্মমুখী কর্মীদের উপচেপড়া ভিড় - নয়া দিগন্ত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরিগুলোতে গার্মেন্টসকর্মীসহ রাজধানী ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে টানা প্রায় দশ দিন হোম কোয়ারেন্টানে থাকার পর শনিবার সকাল থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীদের চাপে দৌলতদিয়াঘাট মুখরিত হয়ে উঠেছিল।

করোনার ভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশে সরকার হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষণার পর থেকে দৌলতদিয়া ঘাট ছিল একেবারেই ফাকা। গাড়ি ও যাত্রী না থাকায় ফেরিগুলোও প্রায় অলস বসে ছিল। কিন্তু শনিবার হঠাৎ গার্মেন্টসকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে ওঠে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট।

জানা যায়, সরকার হোম কোয়ারেন্টানের সময় বাড়িয়ে ১১ মার্চ পর্যন্ত করেছে। কিন্তু গার্মেন্টস সেক্টরগুলো আগামীকাল রোববার থেকে খোলা থাকবে। এতে করে দক্ষিণবঙ্গের গার্মেন্টসকর্মীরা তাদের কর্মস্থলে যোগদানের জন্য ছুটে চলেছে।

সরে জমিন শনিবার বিকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৪ ও ৫ নং ফেরিঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ গোলাম মওলা, চন্দ্র মল্লিকা ও ঢাকা ফেরিতে উপচে পড়া ভিড়। ফেরিগুলো ছোট বড় কিছু গাড়ি থাকলেও কানায় ভর্তি রয়েছে শত শত সাধারণ যাত্রী। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা অধিকাংশই গার্মেন্টস শ্রমিক। রাজবাড়ীর সোহেল, ফরিদপুরের রাব্বানী খান, মধুখালীর মনোয়ারা বেগম, শিহাবসহ ১১ জন যাত্রীর কথা বলে জানা যায় তারা ৯ জনই রাজধানীর কোনো না কোনো গার্মেন্টস কোম্পানিতে কাজ করেন।

এ সময় তারা গার্মেন্টস কোম্পানীর পরিচয় না দিয়ে বলেন, আগামী কাল সময়মতো কাজে যোগদান করতে না পারলে তাদের চাকরি থাকবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, করোনা ভাইরাসের ভয় করে কী করব চাকরি গেলে তো পেটের ভাত জুটবে না। আমরাতো সরকারি চাকরি করি না। সরকারি অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা বাড়িয়েছে। তাদের মরণের ভয় আছে আমাদের জন্য সরকার কোন কথা বলেনি। তাই আমাদের জীবন বাজি রেখেই কাজে যোগদান করতে হবে।

এ দিকে যাত্রীরা ফেরিতে উঠার আগে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় ফেরি ঘাটের উপরে বিআইডব্লিউটিসি’র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ১৫/২০ জন লোককে যাত্রীদের কাছ থেকে ২৫ টাকার টিকিট ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত আদায় করতে দেখা যায়। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে তাদের খারাপ আচরণ করতেও দেখা যায়। এ সময় মধুখালি থেকে আসা যাত্রী সুমন ও রিফাত জানান, টিকিটের গায়ে ২৫ টাকা লেখা থাকলেও তাদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নেয়া হয়েছে। বাড়তি টাকা ফেরত চাইতেই তারা তেরে মারতে আসছিল।

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডব্লিউটিসি’র আবু আব্দুল্লাহ রণি জানান, হঠাৎ করেই যাত্রী ও গাড়ীর চাপ বেড়ে গেছে। তবে ফেরিতে পার হওয়া সাধারণ যাত্রীদের টিকিট দেয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। এ ব্যাপারে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি’র তাদেরকে ১ বছরের জন্য ঘাট ইজারা দিয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া তাদের লোকজন আদায় করছে, এর দায়দায়িত্ব তাদের।


আরো সংবাদ



premium cement