শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃতুদণ্ডের আদেশ
- শরীয়তপুর সংবাদদাতা
- ১৮ মার্চ ২০২০, ২১:৫০
যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে হত্যা করায় স্বামী জাকির কাজী নামে একজন আসামীকে মৃতুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনানের বিচারক আ. ছালাম খান। বুধবার বিকাল ৫টায় আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন বিচারক। এই মামলার অপর আসামী নিহতের শ্বশুর সামচু কাজী, ননদ সুমি আক্তার, ননদের জামাই ফরিদ চোকদার ও জা ছালমা বেগমকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ২০১৮ সালের ১ মার্চ যৌতুকের দাবীতে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের পাচুখার কান্দি গ্রামে গৃহবধু মোসাম্মৎ আয়সা সিদ্দিকাকে স্বামী জাকির কাজীসহ অন্যান্য আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই রাসেল চৌকিদার বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা একই বছরের নভেম্বর মাসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলায় মানিত ১৩ জন সাক্ষি আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। চলতি বছরের ২ মার্চ যুক্তিতর্ক শুরু হয়। দীর্ঘ ৩ দিন যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে আজ ১৮ মার্চ বুধবার রায় শুনানী হয়। রায়ে আদালতের বিচারক প্রধান আসামী নিহতের স্বামী মো. জাকির কাজীকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন। একই মামলার সহযোগী আসামীদের বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
মামলার বাদী রাসেল চৌকিদার বলেন, আমার বোনকে আসামীরা যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমরা সাক্ষির মাধ্যমে বিষয়টি আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হই। আদালত মামলার প্রধান আসামীকে মৃতুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছে। আমি ও আমার পরিবার আদালতের এই রায়ে খুসি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদ আখন্দ বলেন, এ রায়ে আমরা ন্যায় বিচার পাইন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ খান বলেন, আসামী জাকির কাজী আয়সা সিদ্দিকাকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করে নিয়ে যায়। পরে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন পরবর্তী পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে আত্মহত্যা বলে চালাতে চায়। আসামী পক্ষ হত্যার বিষয়টি আত্মহত্যা হিসেবে প্রমান করতে ব্যর্থ হয়। বাদী পক্ষে ১৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে বিষয়টি পরিকল্পিত হত্যা প্রমান করতে সক্ষম হয়। আদালত প্রধান আসামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এই আদেশে রাষ্ট্রপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা