স্ত্রীকে হত্যা করে ফাঁস নেন সেই স্বামী
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১০
ফরিদপুরে রাজীব বিশ্বাস (৩৪) ও স্ত্রী সোনালী বণিক স্মৃতির (২২) মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী রাজীবই দায়ী বলে মনে করছে পুলিশ। সোনালী বণিককে মাথা থেঁতলে হত্যার পর স্বামী রাজিব বিশ্বাস নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে।
মাত্র দুবছর আগে প্রেমের বিয়ের পর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফরিদপুরে এসে সংসার পাতেন রাজীব-সোনালী।
সোমবার রাতে শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার লঞ্চ ঘাটে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে রাজীব ও স্মৃতির লাশ উদ্ধার করা হয়। স্মৃতির লাশ ঘরের বিছানায় শায়িত অবস্থায় ও রাজীবের লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহত স্মৃতি বণিকের ভাই নিলয় বণিক বাদি হয়ে তার বোনকে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি দেখানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোনালী বণিক স্মৃতি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের বাটিকামারী উত্তর পাড়া গ্রামের খোকন বণিকের মেয়ে। আর রাজীব বিশ্বাস (৩৪) গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার উজানি ইউনিয়নের খালখোলা গ্রামের বাসিন্দা মৃত নিরাঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে। পরিবারের অমতে দুই বছর আগে বিয়ে করেন তারা। বছরখানেক আগে শওকত সিকদারের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেন।
রাজীবের মামা বিকাশ বিশ্বাস জানান, রাজীব ফরিদপুর শহরে টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তবে সে কলেজে শিক্ষকতা করছে বলে আত্মীয়দের কাছে বলতো। আর স্মৃতি ফরিদপুরের সারদা সুন্দরি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় দেখা যায় স্মৃতির মাথার পেছনে থেঁতলানো। পাটার পুতা জাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বিছানাতেও রক্ত মাখা ছিলো। ওসি বলেন, ওই দুই মৃত্যুর ধরণ দেখে ধারণা করা করা যাচ্ছে, রাগারাগির এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করা হয় স্মৃতিকে। ফলে তিনি মারা যান। তারপর রাজীব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
এদিকে, ময়নাতদন্তের পর লাশ দু’টি দুই পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। স্মৃতির লাশ গ্রহণ করেন তার ভাই নিলয় বণিক আর রাজীবের লাশ গ্রহণ করেন তার মামা বিকাশ বিশ্বাস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা