টাঙ্গাইলে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে এসএসসি পরীক্ষা!
- টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:২৭, আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৪৬
টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার এ কেন্দ্রে ৯০৭ জন পরীক্ষার্থী বোর্ড নির্ধারিত প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্র (সৃজনশীল) প্রশ্নপত্রের নাম ছিল ‘সোয়াত’। যার সেট কোড হচ্ছে ০৩। কিন্তু এদিন টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভুল করে ‘কাশ্মীর’ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। যার সেট কোড হচ্ছে ০১। পরীক্ষা শেষে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক অভিভাবক নয়া দিগন্তকে বলেন, পরীক্ষা শেষে বিষয়টি আমার নজরে আসে। এমন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় এ ধরণের ভুল মেনে নেয়া যায় না। এই ভুলের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় কে নেবে?
ওই কেন্দ্রের ২০৯ নম্বর হলের পরীক্ষার্থী আল আমিন বলেন, পুরো টাঙ্গাইলে এক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়েছে। অথচ বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আমরা আলাদা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছি। এই প্রশ্নপত্রটি তুলনামূলকভাবে কঠিন ছিল। এই ভুল মানা যায় না।
কেন্দ্র সচিব বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল করিম মিয়া নয়া দিগন্তকে জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে দু’টি করে প্রশ্নসেট দেয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয় কোন সেটে পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রশ্নসেট নির্ধারণী এসএমএস ভুল দেখেছেন। আর এই ভুলের কারণে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়।
কেন্দ্র সচিব আরো বলেন, এ নিয়ে বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হলেও কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এই কেন্দ্রের সব খাতা আলাদাভাবেই বোর্ডে পাঠানো হবে এবং শিক্ষার্থীরা যে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে সেই প্রশ্নপত্র দিয়েই খাতাগুলো মূল্যায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানা বলেন, ভুল করে সেট পরিবর্তন হয়েছে। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি ধরা পড়ে। বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, ওই (এক নম্বর) প্রশ্নপত্রেই খাতা দেখা হবে। এতে পরীক্ষার্থীদের খাতায় কোন প্রভাব পড়বে না।