কোটালীপাড়ায় পরীক্ষা চলাকালীন ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন অধ্যক্ষ
- কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:০৬
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ২০ ছাত্রের চুল কাটলেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় পরীক্ষা না দিয়ে ছাত্ররা হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষকদের মধ্যস্থায় ছাত্ররা হলে ঢুকে পরীক্ষা দেয়। এ নিয়ে ছাত্রদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বুধবার উপজেলার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, রমজান ফকির, ইয়াসিন খান, রহমত শেখ , রিপন, ইয়াসিন শেখ জানায়, বুধবার তাদের বাংলা পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে অধ্যক্ষ মো: বাকের হোসাইন কাঁচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনার পর ছাত্ররা পরীক্ষা না দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদরাসাটির অন্য শিক্ষকদের মধ্যস্থায় ছাত্ররা তাদের পরীক্ষা শেষ করে ।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্র জানায়, বাংলা পরীক্ষার ১ম ঘন্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষায় না দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে আমাদেরকে দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। এর পরে আমরা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করি।
এ বিষয়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মো: বাকের হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সকল ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদরাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ওদের চুল কেটে দিয়েছি। আমি ওদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে থাকা ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দিবো না এ কথা বলিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা