পদ্মা সেতুর পাইল বসানোর কাজ শেষ
- আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ
- ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৩:৩৬
পদ্মাসেতুর মূল কাজের ৮১ শতাংশ শেষ হয়েছে। নদী শাসন তথা নদীর দুই তীর সুরক্ষার কাজও এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে নদী শাসন কাজের ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২৯৪টি পাইলের সবকটি শেষ। রোববার সন্ধায় আনুষ্ঠানিকভাবে পাইলের কাজ সমাপ্ত ঘোষণা হয়েছে। এতে করে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো পদ্মাসেতু। সবমিলে এ সেতুর সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৭১ শতাংশ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দির্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলার থাকবে এবং তার উপরে ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ৪২টি পিলারে ২৯৪টি পাইল বসছে যার ২৯৪টি পাইল ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হলো।
৪১টি স্প্যানের মধ্যে ১৪ টি স্প্যান ইতিমধ্যে পিলারে বসেছে, আরো ১০টি ইতোমধ্যে চীন থেকে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাশন ইয়ার্ডে এসে পৌছে ফিটিংস এর কাজ চলছে। অবশিষ্ট ১৭টিও তৈরি হচ্ছে চীনেই। পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি পিলারের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯টি পিলার সম্পন্ন হয়েছে। বাকী ১৩টি পিলারের কাজও শেষের দিকে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যানটি পিলারের উপর বসিয়ে শুরু হয় ফুলে ফুলে মালা গাথার মতো একের পর এক স্প্যান বসানো আর তৈরি হতে থাকে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। খুলে যাচ্ছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। এরই মধ্যে সেতুর দুই কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। এখানে প্রায় ২৫ হাজার দেশী বিদেশী শ্রমিক কাজ করছেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি , নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন এবং প্রকল্প এলাকা জুড়ে সার্বিক তত্ত্ববধায়নসহ কঠোর নিরাপত্তায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
পদ্মাসেতুর মাওয়া এবং জাজিরা উভয় প্রান্তে ভায়াডাক্ট এর পাইলিং এবং পিলারের কাজ শেষে এখন গার্ডার স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে দুই প্রান্তে টোল প্লাজা এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। স্বপ্ন ও সম্ভাবনার এ সেতু নিয়ে কোন অপপ্রচার আগেও কাজে আসেনি, এখনও কোন গুজবে এর নির্মাণ কাজ বিঘিœত হবে না। পদ্মা সেতু এক সাহসী স্বপ্নযাত্রা এটা গন্তব্যে পৌছবেই এ প্রত্যাশায় মুন্সীগঞ্জবাসী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা