মাদারীপুরে গৃহবধূর আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে যুবক আটক
- এস. এম. রাসেল, মাদারীপুর
- ৩১ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৩
মাদারীপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে মো: মাহফুজুর রহমান ভূইয়া শিশির (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল শনিবার রাতে জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বাজার এলাকা থেকে শিশিরকে আটক করে।
আটককৃত শিশির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার উজানিসার গ্রামের মৃত আব্দুল আলীম ভূইয়ার ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানাধীন বিষ্ণুদী নিবাসী ওই নারীর স্বামী দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবৎ সৌদিতে অবস্থান করছেন। আনুমানিক ৮/৯ মাস আগে মোবাইলে রং নাম্বারের সূত্র ধরে উক্ত গৃহবধূর সাথে অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় ঘটে। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং এক পর্যায়ে উক্ত গৃহবধূকে জোরপূর্বক দৈহিক মিলনে বাধ্য করে।
এখানেই শেষ হয়। তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও কৌশলে মোবাইলে ধারণ করে এবং উক্ত আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক দফা দৈহিক মিলনে বাধ্য করে।
এ বিষয়ে উক্ত ভিকটিমের পরিবার আইনগত সহায়তা চেয়ে র্যাব-৮, মাদারীপুর ক্যাম্পের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে শনিবার রাতে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানাধীন টেকেরহাট বাজার এলাকায় অবস্থিত তালুকদার ডিজিটাল প্লাজায় সৌদিয়া আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিশিরকে আটক করে।
এ সময় তার কাছ থেকে উক্ত আপত্তিকর ভিডিও সম্বলিত মোবাইল ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসামি শিশির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেছে। তাকে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন :
ইন্টারনেটে নগ্ন ভিডিও ছাড়ার হুমকি দিয়ে ভাঙ্গুড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) সংবাদদাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নগ্ন দৃশ্যসংবলিত ভিডিও ইন্টার নেটে ছাড়ার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে এক বছর যাবৎ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ঘটনার শিকার ছাত্রী একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ, সমাজের প্রধান কৃষ্ণ সূত্রধর, সুভাষ ও মহাদেব সূত্রধরের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মেন্দা পালপাড়া গ্রামে। সে ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ও ২০১৮ সালের বাণিজ্য বিভাগ থেকে জনৈক এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে দক্ষিণ মেন্দা পালপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র হতভাগা এক দিনমজুরের মেয়ে।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর পাশের বাড়ির চৈতন্য সূত্রধরের ছেলে বখাটে কার্তিক (৩২) ওই মেয়ের দূর সম্পর্কে চাচা। মেয়ের বাবার দরিদ্রতা ও দূর সম্পর্কের আত্মীয়তার সুবাদে অবাধে ওই বাড়িতে যাতায়াত করত।
সে কৌশলে মেয়ের অজান্তে নগ্ন দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। সেই ভিডিও ইন্টার নেটে প্রকাশ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এর পরে এক বছর যাবৎ তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গোপনে ধর্ষণ করে। মেয়েটি বিবাহের কথা বললে কার্তিক বলে, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে তাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে ঘরে তুলবে। গত বুধবার রাতে বখাটে কার্তিককে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হাতেনাতে আপত্তিকর অবস্থায় তার মা দেখে ফেললে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর তখন থেকেই সে পলাতক রয়েছে।
এদিকে মেয়ের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, এ মুখ আমি কিভাবে মানুষকে দেখাব। অন্যায় যে করেছে সেই কার্তিক এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করুক। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে তিন লাখ টাকা লুট
রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা, ২২ জুলাই ২০১৮
নওগাঁর রাণীনগরে গৃহবধূকে অস্ত্রের মূখে পণবন্দী করে প্রায় তিন লক্ষ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। টাকা লুটের ঘটনা চেপে রাখতে গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সালিস বৈঠক করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার একডালা ইউপি’র নারায়ন পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মহসিন আলী (১৭) গত ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৯ টায় স্থানীয় একটি বাড়িতে প্রবেশ করে। এর পর ওই বাড়ির গৃহবধূকে একা পেয়ে ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে তাকে পণবন্দী করে আলমারি থেকে থেকে দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা লুট করে নেয়।
টাকা লুটের ঘটনা চাপা রাখতে ধারালো অস্ত্রের মূখে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখে। ঘটনা কাউকে জানালে এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এরপর গৃহবধূর কাছে তার স্বর্ণালঙ্কার চায়।
এসময় গৃহবধূ মহসিনকে ওই ঘরে রেখে অন্য ঘর থেকে চাবি নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে বাড়ির বাহিরে যায়। এরপর প্রতিবেশি কয়েকজন মহিলাকে ডেকে আনে। মহিলারা মহসিনকে হাতে-নাতে আটক করলেও দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান , নারায়ন পাড়া গ্রামের তমেজ উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলামের (৩৫) সহায়তায় মহসিন ওই গৃহবধূর বাড়িতে প্রবেশ করে। গৃহবধু তার স্বামীকে জানালে ওই দিন বিকেলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মহসিনকে আবাদপুকুর এলাকা থেকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
গৃহকর্তা অভিযোগ করেন , মোবাইল ফোনে ধারনকৃত ভিডিওর মেমোরি মহসিনের কাছ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম নিয়ে নেন। তার কাছ থেকে ভিডিওর মেমোরি চাইলে তাকে না দিয়ে চেয়ারম্যান ধারণকৃত ভিডিও মুছে ফেলেন।
এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের কথা বলে মহসিনকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর পর ওই রাতেই নারায়ন পাড়া গ্রামে একটি সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোন সমাধান না আসায় ৯ জুলাই আবারো সালিস বৈঠকে বসেন। সে দিনও কোন সমাধান করতে না পেরে গত শুক্রবার রাতে পুনরায় সালিস ডাকা হয় ।
ওই সালিসে এলাকার মাছ চুরির ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়ে মূলঘটনাকে ধামা-চাপা দিতে লাগলে সালিসে হট্টগোল বেঁধে যায়। সালিস সমাপ্ত না করেই সবাই সেখান থেকে চলে যায় ।
এঘটনায় সালিসী বৈঠকের সভাপতি মুনছুর আলী জানান, লোকজনের হট্রগোলে কারণে চেয়ারম্যান রাগ করে সালিস স্থগিত করেছেন। ফলে বিষয়টি ফয়সালা করা সম্ভব হয়নি।
চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম জানান, মোবাইলে ভিডিও করার ঘটনা আমার জানা নেই। তাছাড়া অভিযুক্ত মহসিন নাবালক, তাই তার সঠিক বিচার করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ঘটনার দিনই মহসিনের অভিভাবকরা তাকে শাসন করেছে। ঘটনা সেখানেই মীমাংসা হয়েছে।
এব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, এরকম ঘটনা আমার জানা নেই বা কেউ জানায়নি। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।