২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘দুনিয়ায় বিচার পাব না জানি, পরম করুণাময়ের দরবারে নালিশ রেখে গেলাম’

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আমি হয়তো এ দুনিয়াতে কোনো বিচার পাব না জানি। কিন্ত পরম করুণাময়ের দরবারে নালিশ রেখে গেলাম। আজ ভোটের দিন। ভোট নয়, সকাল থেকে লুট চলছে সর্বত্র। বিএনপি এজেন্ট ও ভোটার কেউ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারছেনা। সকলকে ঘাড় ধরে বের করে দিচ্ছে সরকার দলীয় দুষ্কৃতিকারীরা। হাতে বোমা নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। ভিতরে ঢুকলেই বোমা দিয়ে মামলা ঢুকিয়ে দিবো। তারা ভয় পেয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়। ভোটার ও পোলিং এজেন্টদের  ভিতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা। কেউ চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হচ্ছে, গ্রেফতারের ভয় দেখান হচ্ছে। নানাভাবে অপমানিত করা হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ-১ আসন ধানের শীষ প্রার্থী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন রবিবার ৩০ ডিসেম্বর দুপুর ২ টার দিকে কেলাপাড়া ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সংম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৮ ডিসেম্বর সিরাজদিখান থানার কেয়াইন ইউনিয়নে কুচিয়ামাড়া পাথর ঘাটায় রাস্তায় প্রথম আমার জীবনের উপর হামলা হয়। পরবর্তীতে ২৪ ডিসেম্বর বয়রাগাতী এলাকায় আমার গাড়ি বহরে হামলা করে গাড়ি ভাঙ্গচুরসহ আমাকে প্রানে মারার চেষ্টা করে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে, প্রশাসন কোন ব্যবস্থা করেননি।

তিনি আরো বলেন, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনী এলাকা (শ্রীনগর-সিরাজিখান) উপজেলায় আমাকে কোন জনসভার জন্য অনুমতি চাইলেও কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমাকে কোন নির্বাচনী অফিস, কোন ব্যানার, পোস্টার লাগাতে দেয়া হয়নি। অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আচারন বিধি লঙ্ঘন করে সরকার দলীয় প্রাথী গেট নির্মাণ করেছে। আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় বসে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা তৈরি করে দলীয় নেতা-কর্মীদের এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। মেয়েদের সাথে কুৎসিত ব্যবহার করেছে থানা পুলিশের সদস্যরা। এত অন্যায়, নির্যাতন, নিপীড়ন, জুলুম ও হামলা-মামলার মাঝে আমি নির্বাচনে দাড়িয়ে ছিলাম। তার পরেও দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় নির্বাচনী এলাকার লোকজনের অফুরন্ত ভালবাসা ও সাড়া পেয়ে বুঝতে পারি সঠিক ভোট হলে আমি ধানের শীষ মার্কায় শতকরা ৯০টি ভোট পাবো। সরকার দলীয় প্রার্থী সেটি বুঝতে পেরে তাদের কূটকৌশল আরো বৃদ্ধি করে দেয়।

আবার বলছি এটা ভোট নয়, এটা লুট, নৌকা মার্কায় লুট। সারা বিশ্বে ভোটের নামে এ ধরনের লুটপাটের কোন নজির আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি।

এ ভোটের প্রার্থী থেকে লাভ কি? কেবল মর্ম যাতনা ও কর্মীদের আহাজারি। এমতবস্থায় ঘৃণা ভরে বিবেকের তাড়নায় আমি ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হলাম।

আমি এই তথাকথিত ভোট বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি এবং পুনরায় সন্ত্রাসমুক্ত ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়ায় দাবী জানাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement
এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি-আমেরিকান কিশোর হামাসের প্রতি 'সহানুভূতিসম্পন্ন' সব সংস্কার শেষে নির্বাচনের পক্ষে ৬৫.৯ ভাগ মানুষ সোনার দেশ- এটিই হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ জুলাই বিপ্লবে আহত বাবুকে নেয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড সৈন্যের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে রাশিয়া! প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে বাংলাদেশ বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ

সকল