চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণ নয়, শ্লীলতাহানি হয়েছে : পুলিশ সুপার
- টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
- ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৪

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণ নয়, শ্লীলতাহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘নারীদের কাছ থেকে কিছু স্বর্ণ-রূপা লুণ্ঠিত হয়েছে। দুষ্কৃতকারী ডাকাতদল নাকফুল, কানের দুল নেয়ার সময় নারীদের টাচে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি এটা আমরা জানতে পেরেছি। শ্লীলতাহানি বলা যেতে পরে।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় মো: শহিদুল ইসলাম (২৯), মো: সবুজ (৩০) ও মো. শরীফুজ্জামান (২৮) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার আতিকুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাভাবের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শ্লীলতাহানি করা হয় দু’ নারীকে। পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চায়। বাসযাত্রীদের হাতে আটক বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাত আট থেকে নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা