২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬
`

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতহানির ঘটনায় আরো ৩ জন গ্রেফতার

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতহানির ঘটনায় আটক তিন ব্যক্তি। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার আতিকুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতাররা হলেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল মুহিত (২৯), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো: সবুজ (৩০) ও ঢাকার সাভারের টানগেন্ডা এলাকার শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮)।

তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল মুহিতের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় একটি এবং ঢাকার সাভার মডেল থানায় একটি বাস ডাকাতি মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। শনিবার দুপুরে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে এ ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওই বাসের যাত্রী ওমর আলী অজ্ঞাত আট থেকে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর আগে ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও সহকারী চালককে গ্রেফতার করা হলেও তাদের জামিন দেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন ও দামি জিনিসপত্র লুট করে নেয়। পরে বাসে থাকা দু’জন নারীর শ্লীলতাহানি ঘটায় ডাকাতেরা।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘চলন্ত বাসে ডাকাতি ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি এবং ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। বাকি অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া ডাকাতির সময় বাসে নারী যাত্রীদের ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির সত্যতা পাওয়া গেছে। গ্রেফতাররাও প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement