উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ ঢাবি শিক্ষার্থীরা, তোপের মুখে ২৬ মাইক বন্ধ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৭
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19692196_182.jpg)
চার দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সমাবেশে মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে ওই সমাবেশে এসে মাইক বন্ধ করতে বললে তোপের মুখে ২৬টি মাইক বন্ধ করেন আয়োজকরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২৬টি মাইক বন্ধ হলেও রাজু ভাস্কর্যে ছয়টি উচ্চ শব্দের সাউন্ডবক্স চলমান রয়েছে।
সমাবেশ উপলক্ষে রাজু ভাস্কর্য থেকে ভিসি চত্বর, শহীদ মিনার ও শাহবাগ পর্যন্ত ২৬টি মাইকে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় শাখা (বাসদ)।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষাপটে মাইকগুলো বন্ধ করে দিচ্ছি, তবে আমাদের অনুষ্ঠান চলমান থাকবে।’
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মাইকের আওয়াজ শুরু হয়। এতে বিপদে পড়েন গ্রন্থাগারে পড়ুয়া ও টিএসসি-সংলগ্ন রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মাইক বন্ধ করতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সকালে লাইব্রেরিতে এসে মাইকের তীব্র আওয়াজে কোনোভাবেই পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। শব্দ এতো তীব্র যে মনে হচ্ছে যেন লাইব্রেরির ভেতরেরই প্রোগ্রাম হচ্ছে। শব্দে রীতিমতো লাইব্রেরির গ্রাসগুলো কাঁপছিলো। অনেকের পরীক্ষা চলমান, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘এভাবে এত বিকট শব্দে অনুষ্ঠান করার অনুমতি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেয় তা ভাববার বিষয়। যেখানে আজকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রয়েছে এবং অনেকের ক্লাস পরীক্ষা চলছে। আয়োজকদের ন্যূনতম কমনসেন্সটুকু পর্যন্তও নাই।’
এদিকে, রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিশাল জায়গা নিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় টিএসসিতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় অসুস্থ রোগী পরিবহণকারী অ্যাম্বুলেন্সকেও আটকে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদকে কল করা হলে প্রক্টর অফিসের স্টাফ হারুন কল রিসিভ করে জানান, ‘স্যার (সাইফুদ্দিন আহমেদ) সিনেটের একটি মিটিংয়ে আছে। স্যারের (সাইফুদ্দিন আহমেদ) মোবাইলটি বর্তমানে আমার কাছে আছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা