ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যায় যুবলীগ নেতাসহ ১৩ জনের নামে মামলা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেন হত্যা ঘটনায় যুবলীগ নেতা আকতার ও সুমনের নাম উল্লেখসহ ১৩ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ১৩ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো আট থেকে ১০ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন আকতার, সুমন, রতন ওরফে রাখাল রতন, শাওন হাসান, রাকিব প্রধান, রাব্বিল, নয়ন ওরফে কিলার রতন, শাহ আলম, সোলেয়মান, জয়নাল, রাসেল, গোলাম রাব্বি হৃদয় ও আরব আলী সর্দারসহ অজ্ঞাত আরো আট থেকে ১০ জন।

নিহতের স্ত্রী জানায়, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রেললাইন বটতলা এলাকায় তার স্বামী মামুনের নেতৃত্বে সন্ত্রাস, মাদক ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে যুবলীগ নেতা আকতার-সুমন ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা গুলি করে। ওই সময় মামুন বেঁচে যায়। তখন থেকেই আক্তার ও সুমন তার স্বামীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে। ওই পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ভোরে তার স্বামীকে আক্তারের নাম করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে আসামিরা।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

নিহত মামুন ফতুল্লা মডেল থানার পূর্ব লালপুর রেললাইনের মরহুম সুমন ব্যাপারির ছেলে। নিহত মামুন তাদের পাঁচ ভাই দু’বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। মামুনের ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ১০ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, আক্তার-সুমন সহোদরেরা শামীম ওসমানের আর্শীবাদে বিগত ১৫ বছর কুতুবআইল এলাকায় রামরাজত্ব গড়ে তুলে। এদের পালিত বাহিনীর গুলিতে খুন হয় ডাইং ব্যবসায়ী সোলায়মান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন। তাদের জমি দখল করতে গিয়ে নিজের বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু হয় নজরুল ইসলামের। আক্তার সুমন সহোদরের পালিত সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।

স্থানীয়রা জানায়, ফতুল্লাবাসী সবাই জানেন, আক্তার-সুমন সহোদর সন্ত্রাসীদের গডফাদার। কিন্তু প্রশাসন তাদের সব বিষয়েই ছাড় দিয়ে যায়। তবে কয়েক বছর আগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে তারা দু’সহোদর মাদকসহ গ্রেফতার হয়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মামলা করেছেন।