ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুনকে গুলি করে হত্যা
- ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩০
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19690535_153.jpg)
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার পূর্ব লালপুর (পাকিস্তান খাদঁ) এলাকায় নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে তাকে গুলি করা হয়।
নিহত মামুন হোসাইন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার ইট-বালু-সিমেন্টের ব্যবসা রয়েছে। তিনি ফতুল্লা পূর্ব লালপুর এলাকার মরহুম সমন আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাজীর দুই ছেলে আক্তার ও সুমন এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। বেশ কয়েক মাস ধরেই মামুনকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন আক্তার ও সুমন।
মামুনের বড় ভাই আমজাদ বলেন, মামুন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। তাকে কে বা কারা বাসা থেকে ডেকে রেললাইন-সংলগ্ন মামুনের মালিকানাধীন মা-বাবার দোয়া নামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানেই মামুন গুলি করে পালিয়ে যায় ঘাতকচক্র।
তিনি আরো জানান, গুলির শব্দ শুনে সে বাসা থেকে বের হয়ে দেখতে পান যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনেই পরে আছেন মামুন। পরে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় খানপুর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার দাবি, আলাউদ্দিন হাজীর দুই ছেলে আক্তার ও সুমন বাহিনীই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। বেশ কয়েক মাস ধরেই মামুনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল এই চক্রটি।
তিনি আরো জানান, আজাদ নামের এক ছেলে মামুনের অফিসের ভেতর ঘুমান। আজাদ তাকে জানিয়েছে যে গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাকিয়ে দেখে যে দু’টি ছেলে দৌড়ে কোতালেরবাগ এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।