ত্যাগীদের নিয়ে গণমানুষের সংগঠন গড়ে তোলা হবে : আফরোজা খান রিতা
- মো: শাহানুর ইসলাম, মানিকগঞ্জ
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫০
তৃতীয়বারের মতো মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কর্ণধারের দায়িত্ব পেলেন জেলা বিএনপির দু’বারের সভাপতি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মেয়ে শিল্পপতি আফরোজা খান রিতা।
তিনি বলেছেন, ‘আমি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় জেলার নিবেদিত প্রাণ, ত্যাগী-বঞ্চিত নেতাকর্মীদের যথাযথা সম্মান দিয়েই সবাইকে নিয়ে দল পূর্ণগঠন করব।’
আজ রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে আফরোজা খান রিতাকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এক আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়।
গত ২০১৩ সালের ৮ জুন রিতাকে সভাপতি করে ১৬ সদস্যের কমিটি এবং ২০২১ সালের ১৪ মার্চ দলের কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন আফরোজা খান রিতা। এসময় জেলায় মোট ৪৫ ভোটের মধ্যে ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে চলতি সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পাালন করে আসছিলেন তিনি।
প্রায় এক যুগ বৈরী পরিবেশে জেলা বিএনপির দায়িত্বপালনকালে তিনি নিজ রাজনৈকিত কার্যালয়ে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ, সেমিনার, কর্মশালা করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তাবাদ, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ধর্ম-সাংস্কৃতিক, মুক্তিযুদ্ধ, সমসাময়িক বিশ্ব ও নেতা-কর্মীদের করণীয়, রাজনৈতিক জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মেধা বিকাশ, দলীয় নীতি-নৈতিকতা ইত্যাদি বিষয় নিয়মিত চর্চা করাতেন। আওয়ামী নেতা-কর্মী, পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন অ্যাজেন্সির অত্যাচারে যখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাড়ি-ঘরে থাকতো পারতেন না, নিজস্ব ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি করতে পারতেন না, ঠিক সেই সময়ে শহরের পাশেই গিলন্ড এলাকায় বাউন্ডারি ঘেরা মুন্নু সিটিতে ফ্যাক্টারির ভেতরে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন আফরোজা খান রিতা।
সদ্য জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব প্রাপ্ত আফরোজা খান রিতা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ, স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির সাথে আমার মরহুম বাবা হারুনার রশিদ খান মুন্নু আজীবন উন্নয়নের রাজনীতি করে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষাজীবনে এক একজন এক একটি বিষয়ে পড়ালেখা করে। কিন্তু দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হলে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে হলে যেকোনো বয়সেই হোক জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তাই বিগত সময়ে আমরা হাজারো হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করেও রাজনৈতিক জ্ঞান অর্জন, মেধা বিকাশ, দলের নীতিমালা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নেতা-কর্মীদের মেধাভিত্তিক প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছি, যা অব্যাহত থাকবে। আমরা তারেক জিয়ার ৩১ দফার মাধ্যমে উন্নয়নের রাজনীতিকে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেবো।’
নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির অপর সদ্যসরা হলেন এস এ জিন্নাহ কবীর, অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, আতাউর রহমান আতা, অ্যাডভোকেট আ ফ ম নূরতাজ আলম বাহার, সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন ও গোলাম আবেদিন কায়সার।
জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।