আ’লীগ বিচার বহির্ভূতভাবে সাড়ে তিন হাজার মানুষ হত্যা করেছে : ভিপি নূর

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি নূরুল হক নূর বলেছেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে বিচার বহির্ভূতভাবে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষে কথা বলতে গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে গুম, হত্যা, হামলা ও মামলার শিকার হতে হয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভূত্থান এভাবে আসেনি। গণতান্ত্রিক মুক্তিকামী মানুষ, ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটানোর জন্য দেড় বছর লড়াই, সংগ্রাম করতে হয়েছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে সোনারগাঁও পৌরসভা মাঠে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষার রাজনীতি’ শীর্ষক আলাচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নূর বলেন, আওয়ামী লীগ ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের নামে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল। গুম-খুনের রাজত্ব করেছিল। নির্যাতন, চাঁদাবাজি, লুটপাট, এমনকি বইয়ে পড়েছি ওই সরকারের মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রী টঙ্গীর ওপর দিয়ে বউ নিয়ে যাওয়ার সময় বউ ছিনতাই হয়েছিল। পরে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই ৭৫-এর বর্বরতা ও নির্মমতা আমরা দেখিনি। আমরা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের নির্মমতা দেখেছি। রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে তারা।

ভিপি নূর আরো বলেন, আওয়ামী লীগের বর্বরতার জন্যই জুলাইয়ের গণঅভ্যূত্থান প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। এ গণ-অভ্যুত্থানের জন্য হাজার হাজার তরুণ প্রাণ দিয়েছে। তাদের প্রাণের বিনিময়ে এ দেশে পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তন স্থায়ী করার জন্য নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ৫ বছর পরপর ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে। কিন্তু জনগণের কোনো প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।