রাজবাড়ীতে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৬
- রাজবাড়ী প্রতিনিধি
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৮, আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৯
রাজবাড়ীর পাংশায় বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শাফিন খান শফি (৪০) হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মোসম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া বরইপাড়া গ্রামের মরহুম ছালাম মোল্লার ছেলে আরিফ মোল্লা (২৫), একই গ্রামের মরহুম ইব্রাহিম প্রামাণিকের ছেলে রুহুল আমিন প্রামাণিক। একইসাথে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরিফ মোল্লা পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা সেনগ্রাম গ্রামের মুরাদ আলি মণ্ডলের ছেলে সামাদ মণ্ডল, একই গ্রামের মো: শাজাহান প্রামাণিকের ছেলে মো: ওয়াহেদ আলী প্রামাণিক, পাবনা সদর উপজেলার কণ্ঠগজরার চরের আকাই কাজির ছেলে রশিদ কাজী, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া বড়ইপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা (২৩), একই গ্রামের মো: আবুল হোসেনের ছেলে মো: সবুজ মোল্লা (২১) ও মরহুম মোতালেব মোল্লার ছেলে মো: সাগর মোল্লা (২০)। একইসাথে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রশিদ কাজি পলাতক রয়েছেন।
এছাড়াও আসামি সেলিম রানা, রতন মোল্লা ও সুমনের অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাফিন খান শফি দীর্ঘ ১৮ বছর চাকরি করে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে এসে ২০১৭ সাল থেকে মাটি ও বালুর ব্যবসা শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কিনে ইটভাটায় দিতে থাকেন। মাটি ও বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শাফিনের সাথে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার কয়েকজনের বিরোধ ছিল। ২০১৭ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে শাফিন খানকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পর দিন বিকেলে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকরী আখক্ষেতের মধ্যে শাফিনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর শাফিনের ভাই মো: ফরিদ হাসান খান রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ দিনের বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত এ রায় দেন।
রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফ মোল্লা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রশিদ মোল্লা ব্যাতীত সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডাদেশ দেয়ার সাত দিনের মধ্যে সাজাপ্রাপ্তরা হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করতে পারবেন বলে রায়ে উল্লেখ আছে।’