মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ইন্তেকাল, জানাজায় মানুষের উপচে পড়া ভীড়
- নিজেস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৩, আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৪
চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজারে প্রাক্তন বিজিএমইএ সভাপতি শিল্পপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শনিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঢাকার গুলশানে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ লতিফুন্নেসা উচ্চবিদ্যালয় ও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মিয়া বাজার ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন মাঠে শনিবার বাদ মাগরিব মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মাঠ ও আশপাশে জনতার উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা যায়।
১৯৪৯ সালের ৪ মার্চ কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করা এই মহান ব্যক্তিত্ব দেশের অর্থনিতিতে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও প্রাক্তন সাংসদ ডা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, বিএনপির প্রাক্তন সাংসদ মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদসহ বিভিন্ন রজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ীক নেতারা।
এ সময় আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানান, সম্প্রতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের সাথে তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি তাকে একজন আল্লাহপ্রিয় সজ্জন ব্যক্তি হিসাবে, পরোপকারী এবং অত্যন্ত মিষ্টভাষী ও সদাচরণের মানুষ হিসেবে দেখেছেন।
স্থানীয় নির্বাচনী আসনের প্রাক্তন এমপি মনিরুল হক চৌধুরী অতন্ত আবেগি ভাষায় বলেন, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তার অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু বিগত সরকারের ১৭ বছর রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়ে তিনি নিজে এলাকা থেকে দূরে ছিটকে পড়েন বিধায় মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের সব খবরাখবর রাখতে পারতেন না।
মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসকে অত্যন্ত পরোপকারী, দানশীল এবং সুজন ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, এখন দেশে ফ্যাসিস্ট সরকার নেই। তবুও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মতো প্রতিষ্ঠিত, সুপরিচিত এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এত ব্যাপক ও ইতিবাচক অবদান রাখা ব্যক্তিও তার দীর্ঘ দিনের জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য কেন বিদেশে যেতে পারেননি তার সদুত্তোর দিতেই হবে বর্তমান সরকারকে।
ড. রেদোয়ান আহমেদ ও কাজী মনিরুজ্জামান তাদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতক জীবনে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের সাথে একান্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। দেশের পোশাকশিল্প থেকে শিশুশ্রম অবসানসহ শিল্পের নানা উন্নয়নে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অবদানের তারা ভূয়সী প্রসংশা করেন।