২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`
মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ

দারুল ইহসানের ট্রাস্টি মারুফ হোসেনের মুক্তি দাবিতে আশুলিয়ায় মানববন্ধন

আশুলিয়ার তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ফাজিল মাদরাসার সামনে মানববন্ধন। - ছবি : নয়া দিগন্ত।

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় দারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টির মারুফ হোসেন মুকুলের নামে মিথ্যা মামলা, অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় জনতা।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বাদ জুম্মা আশুলিয়ার শ্রীপুরস্থ তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসার সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুলের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ওই মামলায় মাদরাসার বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য প্রফেসর হেলাল আহমেদকেও আসামি করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

বক্তারা বলেন, প্রফেসর হেলাল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রয়েছেন এবং তিনি ট্রাস্টির সদস্য। তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ। তার বাড়ি আশুলিয়ার শ্রীপুরে। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গত ৯ ডিসেম্বর উত্তরা থানায় হত্যা মামলায় (নং ১৮) আসামি করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, এটা আমাদের বোধগম্য নয় যে, ট্রাস্টির সদস্য হেলাল আহমেদ থাকেন আশুলিয়ায়। আশুলিয়া থেকে এই বৃদ্ধ মানুষটিকে কিভাবে উত্তরা থানায় হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। মাদরাসার অন্য এক ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুলকে একই মামলায় কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই গত ২২ জানুয়ারি বুধবার আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে আশুলিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে উত্তরা থানায় প্রেরণ করেন। অথচ তিনি জানেন না যে তার নামে মামলা দেয়া হয়েছে।

প্রফেসর হেলাল আহমেদ ও মারুফ হোসেন মুকুলকে যে মামলায় জড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এই মিথ্যা মামলা থেকে তাদেরকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান বক্তারা। তা না হলে শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন তারা।

২০২০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক দারুল ইহসান ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় জোরপূর্বক দখল করে তার মেয়েকে একটি অফিস বানিয়ে দেয়। কিন্তু ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হলে নানক ও তার কন্যা পালিয়ে যায়। তখন ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয়ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দখল মুক্ত হয়। ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি কিংবা অন্য কোনো ট্রাস্টির আওয়ামী লীগ কিংবা-এর অঙ্গ সংগঠনের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।

দারুল ইহসান ট্রাস্টের সহকারী এস্টেট অফিসার মোঃ আসিফুজ্জামান, শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ জনতা মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
মহিলাবিষয়ক অধিদফতরে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হবে সিদ্ধান্ত জনগণের : অধ্যাপক ইউনূস ট্রাম্প নিয়ে ভারতের উচ্ছ্বাসে কি ভাটা? সীমান্তে বিএসএফের বিশেষ সতর্কতা জারি পরিস্থিতি থমথমে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে, ঊর্ধ্বমুখী চাল-মুরগির দাম মাওনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দেড় ঘণ্টা মাটিতে পড়েছিলেন আমিনুল পশ্চিমতীরে হামলা বাড়ানোর হুমকি ইসরাইলের লন্ডন ক্লিনিকের ছাড়পত্র পেয়েছেন খালেদা জিয়া দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে : ডা: শফিকুর রহমান বহিরাগত শ্রমিকদের তাণ্ডবে দেশ ছাড়ছেন ল্যাভেন্ডার গার্মেন্টের চীনা নাগরিকরা গুজব ছড়ানো হচ্ছে আমরা ভালো আছি : আসিফ নজরুল

সকল