বাবার দারিদ্র্যতা জয় করলেন অদম্য সীমা
- হারুন অর রশিদ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৭
বাবার দারিদ্র্যতা মেডিক্যালের পড়ায় বাধা হতে পারেনি অদম্য সীমা আদক্তারের। মেডিক্যালে পড়ার প্রবল ইচ্ছা শক্তিই ভর্তি জয়ী হতে সাহায্য করেছে সীমা আক্তারকে। বাবার প্রাচুয্য না থাকায় প্রতিনিয়ত দারিদ্রের সাথে চলতে হতো আপস করে। লেখা-পড়ায় বাবার অর্থনৈতিক সাপোর্ট না থাকায় টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ যুগিয়ে সে। ২০২৪-২৫ সালে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডাক্তার হওয়ার প্রথম বাধা অতিক্রম করলেও নতুন হতাশায় সে । মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেলেও সীমা এবং তার পরিবারের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের হাড়ভাঙ্গা গ্রামের বাসচালক আনিছুর রহমান ও গৃহীণি সালমা বেগমের মেয়ে সীমা আক্তার। গ্রামে ভিটা-বাড়ি থাকলেও ঘর না থাকায় উপজেলার কুরনি গ্রামে একটি টিনের ভাড়া বাসায় থাকে তারা। সীমা ২০২৪ সালে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
এছাড়াও সীমা প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও এসএসসি পরীক্ষায়ও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
কুরনি সীমাদের ভাড়া বাসায় গিয়ে সীমা ও তার মা সালমা বেগমের সাথে কথা হলে জানা যায় এসব তথ্য। সীমার মা সালমা বেগম জানান, ‘সীমা তাদের একমাত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী কিন্তু দরিদ্র্যতার জন্য আমারা তাকে তেমন যোগান দিতে পারিনি। তার বাবার অল্প আয়ে বাসা ভাড়া এবং সংসার চালিয়ে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হত। মেধা, নিকট আত্মীয়ের কিছু সহযোগিতা এবং ওর টিউশনির টাকায় এপর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। ডাক্তার হওয়ার দীর্ঘপথ পার হতে যে অর্থের প্রয়োজন তা আমাদের নেই। মেয়ের মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। আমাদেরতো ঠিকমত সংসার চলে না। কীভাবে মেডিক্যালে খরচ দিব।’
সীমা জানায়, তার প্রবল ইচ্ছা শক্তি, পরিশ্রম, তার শিক্ষক এবং তার ফুপুর সহযোগিতায় আজ এ পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। এখনো অনেক পথ বাকি। ফুপুর সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি তবু টিউশনি করে লেখাপড়ার বাকিটা পথ পার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন অদম্য মেধাবী এই শিক্ষার্থী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা