ফরিদপুরে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৪
ফরিদপুরের সদর উপজেলার আলীয়াবাদ ইউনিয়নের গদাধরডাঙ্গীতে পদ্মার চরে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই চরে গেলে তাকে গুরুতর আহত করে সারারাত ফেলে রাখা হয়।
নিহতের নাম মিরান খান (৩৫)। তিনি একই ইউনিয়নের সাদীপুরের জালাল খানের ছেলে। মিরান আলীয়াবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি পদ্মার চরের বালু, মাছ ও ইন্টারনেট ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। মিরান বিবাহিত এবং তার দুটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
নিহতের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে গদাধরডাঙ্গীতে মাছ ধরতে যান মিরাজ। এ সময় স্থানীয় বালু ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে তাকে পিটিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতি করতে গেলে স্থানীয়রা তাকে মারপিট করে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অন্তত চারটি মামলা রয়েছে। মিরান ডাকাতি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল।
মিরানের ছোট ভাই ইরান খান বলেন, তিন মাস আগে মাছ ধরা নিয়ে তন্ময় নামে এক যুবকের সাথে আমার ভাইয়ের দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। তারাই আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মনি শিকদার বলেন, রাতেই পুলিশকে খবর দেয়া হলেও কুয়াশার কারণে তারা ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। ভোরের দিকে নিহতের আত্মীয়স্বজনেরা এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের ওয়ার্ড মাস্টার ফায়েকুজ্জামান জানান, শুক্রবার (২৪ জনুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে মিরান নামে যুবককে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর ইকবাল বলেন, ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। নিহত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা