২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ মাঘ ১৪৩১, ২০ রজব ১৪৪৬
`

সিরাজদিখানে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা, গুরুতর আহত ৬

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে টঙ্গীবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা বলাকা পরিবহন ঢাকায় যাওয়ার পথে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের হিরনের খিলগাঁও গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। ২০ জানুয়ারি, সোমবার। - ছবি : নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে টঙ্গীবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা বলাকা পরিবহন ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের হিরনের খিলগাঁও গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুর্ঘটনার শিকার বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে।

আহতরা হলেন নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার মরহুম আব্দুল কাদেরের ছেলে মাইনুউদ্দিন (২৭)। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

অন্য আহতরা হলেন উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মালপদিয়া গ্রামের করিম বেপারীর ছেলে লিটন শেখ (৩৫), মালখানগর ইউনিয়নের ফুরসাইল গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে দিদার খান (৫২), ইছাপুরা ইউনিয়নের রাজদিয়া গ্রামের শেখ তফিউদ্দিনের ছেলে সোলায়মান (৫৮), ফতুল্লা থানার বকতবলী গ্রামের মরহুম আজিম উদ্দিনের ছেলে রাসেল (৪৫), টংগীবাড়ি উপজেলার আবদুর রহিম (৪০)।

বাসের যাত্রী আব্দুল্লাহ ঢালী বলেন, আমি ও আমার বন্ধু বেতকা থেকে ঢাকার উদ্দেশে বলাকা পরিবহনে উঠি। ইছাপুরা চৌরাস্তা থেকে বাসের চালক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হিরনের খিলগাঁও এসে গাছের সাথে লাগিয়ে দেয়। এতে অনেকেই আহত হয়। আমিও হালকা ব্যথা পেয়েছি। বাসের অনেক যাত্রী অনেকবার বাসচালককে মোবাইল ফোন রেখে বাস চালাতে বলেছিল। কিন্তু সে (চালক) মোবাইল ফোন না রেখে বাস চালায়। তার (চালক) কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই চালকের সুষ্ঠু বিচার চাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মারুফ রাইয়ান বলেন, দুপুর ২টা ১০মিনিটে বাস দুর্ঘটনার ছয়জন যাত্রীকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।

একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। শুনেছি কয়েকজন আহত হয়েছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement