২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ মাঘ ১৪৩১, ১৯ রজব ১৪৪৬
`

ফতুল্লায় পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ২ গার্মেন্টস ভাঙচুর

ফতুল্লায় দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দুটি কারখানা ভাঙচুর হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, শিল্পপুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা গার্মেন্টস কারখানা দু’টির আশপাশে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৯ জানুয়ারি, রোববার। - ছবি : নয়া দিগন্ত

তুচ্ছ ঘটনার জেরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শাসনগাঁ এলাকায় মাদার কালার ও আরএস গার্মেন্টস নামে দু’টি পোশাককারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কারখানা দুটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কারখানা দু’টিতে হামলা চালায়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে মাদার কালার গার্মেন্টস কারখানার জানালার কাচসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে ধাওয়া দিলে শ্রমিকরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, শনিবার সকালে মাদার কালার কারখানায় রিপন নামে এক শ্রমিক চারদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে কারখানার সুপারভাইজার মিজান তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রিপন তাকে মারধর করলে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ মিজান ও রিপনকে ডেকে নিয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। তবে মালিকপক্ষ শ্রমিক রিপনকে মারধর করে আটকে রেখেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে মাদার কালার কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে আবারো উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ শ্রমিক কারখানার বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। দুপুরে তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাদার কালার কারখানার সব শ্রমিক বিক্ষোভে অংশ নেয়। তবে পাশের আরএস গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা তাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে প্রতিরোধ করলে দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে দুই কারখায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আতংক সৃষ্টি হলে আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ, শিল্পপুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা গার্মেন্টস কারখানা দু’টির আশপাশে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নারায়ণগঞ্জ শিল্পপুলিশ ৪-এর পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement