২০ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে শরীয়তপুর জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
- শরীয়তপুর প্রতিনিধি
- ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪১
দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের অভিযোগ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক মাদারীপুর অঞ্চল।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদক মাদারীপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমানসহ পাঁচজনের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট ক্রুটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সখিপুর ডাকবাংলোতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের কোনো কাজ না করে পুনরায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়াসহ বিভিন্ন বরাদ্দে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ের তদন্তসহ পূর্ণ তদন্ত শেষে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে দুদক।
দুদক মাদারীপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান অভিযান পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে শরীয়তপুর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা পরিষদের ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পে ও বিভিন্ন বরাদ্দে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি।
আখতারুজ্জামান বলেন, অভিযানকালে প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুর হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জল, আসমা আক্তার, শাখাওয়াত হোসেন মোল্যা ও সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আলম মামুন জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ডাকবাংলোতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে কাজ না করে পুনরায় আবার ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দপত্র, কম্বল বিতরণ, বাউন্ডারি ওয়ালের টেন্ডার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও স্বাধীনতা মঞ্চের টেন্ডার, সখিপুর, ভেদরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন ডাকবাংলো ও সড়ক নির্মাণ, মসজিদ-মন্দির নির্মাণসহ ২০টি প্রকল্পের অনিয়মের প্রাথমিক অনিয়ম পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে তদন্তসহ অফিসের ডকুমেন্ট আরো পর্যালোচনা করে কমিশনে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা